দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতসী মারলেনা। রবিবার আম আদমি পার্টির বিধায়ক দলের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ দলের ২২ জন বিধায়ক, যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতসী।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা অধিবেশন শুরু হবে। তিন দিনের এই অধিবেশনে বিজেপি সরকার দাবি করেছে যে, আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সিএজি (কম্পট্রোলার অডিটর জেনারেল) এর প্রতিবেদন সংসদে পেশ করা হবে।
বিজেপি দিল্লি বিধানসভায় ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন জিতে প্রায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। অপরদিকে আপ ২২টি আসন পেয়েছে এবং কংগ্রেস কোনো আসনই জয়লাভ করতে পারেনি।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মনীশ সিসোদিয়া সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা, নির্বাচনে হেরেছেন। তবে অতসী দলের নতুন বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ফলে, দিল্লি বিধানসভায় তার ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
দিল্লি বিধানসভা অধিবেশন আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে, যেখানে বিধায়কদের শপথগ্রহণ হবে এবং নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন। বিজেপির নেতা বিজেন্দর গুপ্ত স্পিকারের পদে মনোনীত হয়েছেন।
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিএজি প্রতিবেদন পেশ করা হবে, যা পূর্ববর্তী আপ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক হরিশ খুরানা জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি পেশ হলে “অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে”, যার মধ্যে থাকবে মদ নীতি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন (যাকে বিজেপি ‘শীষ মহল’ বলে অভিহিত করেছে) ও শিক্ষানীতির মতো বিষয়গুলো।
খুরানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,”প্রতিবেদনটি সংসদে পেশ হলে অনেক কিছু সামনে আসবে। আমি মনে করি, সিএজি প্রতিবেদনটি সঠিক তথ্য সামনে আনবে। এটি শিক্ষা, মদ বা শীষ মহল এমন অনেক বিষয় উঠে আসবে”।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনটিকে এক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আপ সরকারের কর্মকাণ্ডে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে। এই প্রতিবেদনটির আলোচনায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অতসী বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দিল্লি বিধানসভায় নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তার নেতৃত্বে বিরোধী দল হিসেবে আপ আগামী দিনে সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপির হাতে সিএজি প্রতিবেদন রয়েছে, যা পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।