কলকাতার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad)। হিন্দু লোকাচারে কোনও কিছুর শুভ সূচনায় নারকেল ফাটানোকে শুভ মনে করা হয়। তাই কর্ম কর্তারা ফিরহাদের দিকে এগিয়ে যান নারকেল নিয়ে। কিন্তু ফিরহাদ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাত নেড়ে সেখান থেকে চলে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পৌরসংস্থার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং আয়োজকরা হিন্দু লোকাচার অনুযায়ী ফিরহাদ হাকিমকে নারকেল ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন। এই রীতি হিন্দু সংস্কৃতিতে শুভারম্ভের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু মেয়র তা প্রত্যাখ্যান করে মুখ ফিরিয়ে নেন, যা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধর্মীয় পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের একাংশ সরব হয়ে বলেছেন একজন মেয়র তার এইরকম ব্যবহার শোভা পায়না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সমোলোচকরা বলছেন তৃণমূল মেরুকরণের রাজনীতি করে কিন্তু এক্ষেত্রে কলকাতার মেয়র নিজেই হিন্দু লোকাচার কে তাচ্ছিল্য করেছেন ফিরহাদ হাকিমের এই আচরণ তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্মীয় রাজনীতির একটি প্রকাশ। স্বভাবতই বিরোধী শিবির ফিরহাদের এই আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন। তারা বলেছেন “এটি একটি সাধারণ রীতি।
এতে অংশ নিতে অস্বীকার করা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করে। আমরা এই ধরনের আচরণ মেনে নিতে পারি না।” বিরোধীরা আরও বলেছে যে এই ফিরহাদ হাকিমই মঞ্চ থেকে বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তোলার কথা। এছাড়াও ওবিসি সার্টিফিকেট জালিয়াতি নিয়েও মুখ খুলেছে তারা।
বিরোধীদের মতে কিভাবে তোষণের রাজনীতি করে তৃণমূল সরকার ওবিসি সার্টিফিকেট জালিয়াতি করেছে। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ঠিক সময় জয়েন্টের ফল প্রকাশ করা যায়নি বলে মেধা তালিকার প্রথম দশ জন রাজ্য ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে।
বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন! TECNO POVA Slim 5G ভারতে আসছে ৪ সেপ্টেম্বর, বিস্তারিত জানুন
এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপি মন্তব্য করেছে মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেকে হিন্দু বলেন কিন্তু হিন্দু রীতিনীতিকে তিনি আসলে তাচ্ছিল্য করেন। যার ফল স্বরূপ এই তোষণের রাজনীতিতে মেতেছে রাজ্য সরকার। এবং ফিরহাদের এই আচরণ তার ই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।