ফরাক্কায় অঞ্জলীর নয় পুজো মণ্ডপে আজানের সময়সূচি!

ফারাক্কা ৩০ সেপ্টেম্বর: দূর্গা পুজোর মহাঅষ্টমীর দিন পুজোর মণ্ডপ গুলিতে সাধারণত দেখা যায় অঞ্জলীর সময়সূচি (Durga Puja 2025)। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় দেখা গেল বিচিত্র…

Durga Puja 2025

ফারাক্কা ৩০ সেপ্টেম্বর: দূর্গা পুজোর মহাঅষ্টমীর দিন পুজোর মণ্ডপ গুলিতে সাধারণত দেখা যায় অঞ্জলীর সময়সূচি (Durga Puja 2025)। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় দেখা গেল বিচিত্র ঘটনা। পুজো মণ্ডপে অঞ্জলীর বদলে আজানের সময় সূচি দেওয়া আছে। ফরাক্কার মহেশপুর পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব শিবতলায় দুর্গা পুজোর মণ্ডপে আজানের সময় সূচি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যুক্তি দিয়েছে।

Advertisements

তাদের মতে ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি তারা বলেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি। আসলে এখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু তাই এই আজানের সময়সূচি যদি বাধ্যতামূলক ভাবে না লাগানো হয় তবে পুজো মণ্ডপ ভাঙ্গচুর হতে পারে। রাজ্য বিজেপি আরও বলছেন, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু-বিরোধী নীতির আরেকটি নিদর্শন।

   

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় যা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘুদের উপর নানা নিয়ম আরোপ। শাস্ত্রীয় অঞ্জলির জায়গায় আজানের সূচি লাগানো হচ্ছে, যাতে হিন্দুরা আপোষ করতে বাধ্য হয়। এটা সম্প্রীতি নয়, অত্যাচারের শুরু।” তারা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের আমলে পুজো মণ্ডপে আক্রমণ, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে, যা সরকারের ‘তোষণনীতি’র ফল।

মহেশপুর পঞ্চায়েতের পূর্ব শিবতলায় অবস্থিত এই পুজো মণ্ডপটি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের আস্থার কেন্দ্র। দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীতে যখন দেবী দুর্গার পুজোর প্রস্তুতি চলছিল, তখন মণ্ডপের প্রধান দরজায় একটি বড় পোস্টারে আজানের সময়সূচি লাগানো হয়েছে। সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব এবং ইশার সময়, যা স্থানীয় মসজিদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

স্থানীয়রা বলছেন, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে ‘সমঝোতা’র অংশ। কিন্তু এই ‘সমঝোতা’ হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অপমানজনক বলে প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে। একজন স্থানীয় হিন্দু নাগরিক বললেন, “আমরা দেবীর পূজায় মন দিতে এসেছি, কিন্তু মণ্ডপে আজানের সূচি দেখে মনে হচ্ছে আমাদের উৎসবটাই অন্যের হয়ে গেছে।

এটা কি সম্প্রীতি, না আমাদের আস্থার উপর চাপ?” বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন “এই সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল ক্ষমতায় টিকে থাকা ও হিন্দুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করে নিজের আখের গোছানো, কারণ সনাতনীদের আস্থা এই সরকারের ওপর থেকে উঠে গেছে। তাই হিন্দুদের বেকায়দায় ফেলে ভোট ব্যাংক কে মজিয়ে রাখা যাতে মূল বিষয় গুলি যেমন শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান নিয়ে কেউ ভাবার সময় না পায়।

মহাষ্টমীতে সবজির বাজারে দামের হালচাল দেখে নিন

২০২৬ সালে এই হিন্দু বিরোধী মমতা সরকার কে না ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে হিন্দুদের এই সব নিয়ম কানুনে অভ্যস্ত হয়ে যেতে হবে এবং আজ ফরাক্কায় যে দৃশ্য দেখতে আমরা বাধ্য হলাম কাল সারা পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে দেখতে হবে।” তবে বাঙালির প্রাণের উৎসব কে ঘিরে এই বছর জায়গায় জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং তা থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মতে এই ধরণের ঘটনা পুজোর আবহে কাম্য নয়।