বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী কণ্ঠস্বরে পরিণত হওয়া এলন মাস্ক, এবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) লিবারাল সরকার নিয়ে সরব হয়েছেন। টেসলার কর্ণধার মাস্ক (Elon Musk) সম্প্রতি তার এক্স হ্যান্ডেলে ট্রুডো সরকারের পতন সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। মাস্কের এই মন্তব্য কানাডার রাজনীতিতে উত্তেজনার নতুন স্রোত এনে দিয়েছে। আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তবে এলন মাস্কের এই বার্তা ট্রুডো সরকারের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা (Elon Musk on Justin Trudeau)।
খুব শিগগিরি হামলা হবে কানাডার হিন্দু মন্দিরগুলিতে, ভিডিও বার্তা খালিস্তানি সন্ত্রাসী পান্নুনের
ট্রুডো সরকার বর্তমানে দেশি-বিদেশি নানা বিতর্কে জর্জরিত। খালিস্তানি ইস্যু ঘিরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। গত কয়েক মাস ধরে খালিস্তানি সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে কানাডা সরকারের নীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে পৌঁছেছে, যা কানাডায় থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জনেও ট্রুডোর উপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে এলন মাস্কের সরাসরি ট্রুডো সরকারকে টার্গেট করা ঘটনাটি কানাডার রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। মাস্ক, যিনি শুধুমাত্র প্রযুক্তি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রেই নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন, তার মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – তিনি কি সত্যিই কানাডায় ক্ষমতার পরিবর্তনের পক্ষে কাজ করছেন? নাকি এটি তার একটি সাধারণ রাজনৈতিক মন্তব্য? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্কের মতো একজন প্রভাবশালী ধনকুবেরের এমন মন্তব্য ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যারা লিবারাল সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ।
বাংলাদেশ থেকে ছড়িয়েছে আল কায়দার জাল, রাজ্য জুড়ে তল্লাশিতে এনআইএ’র
ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগও ওঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা, স্বচ্ছতার অভাব এবং অভিবাসন নিয়ে বিতর্কিত নীতি। এসব কারণে সরকার দেশজুড়ে জনমনে হতাশা সৃষ্টি করেছে। আর এর মধ্যেই মাস্কের মন্তব্যে যেন নতুন করে আগুনে ঘি ঢালা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি কানাডায় ক্ষমতার পালাবদলের ইঙ্গিত বহন করছে।
মণিপুরে সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১১ জঙ্গি
আগামী নির্বাচন ঘিরে কানাডার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এলন মাস্কের এই বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে ট্রুডো বিরোধী শিবির মাস্কের এই মন্তব্যকে লিবারাল সরকারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হিসেবে দেখছে। কানাডার ভোটারদের মধ্যে মাস্কের জনপ্রিয়তা যে বিশাল, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ফলে তার মন্তব্য ট্রুডোর রাজনৈতিক অবস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে।
অবশ্য, মাস্কের এই মন্তব্যের বাস্তবিক প্রভাব কী হতে চলেছে, তা ভবিষ্যতেই স্পষ্ট হবে। তবে এক্ষেত্রে ট্রুডো সরকারের প্রতি মাস্কের প্রকাশ্য সমালোচনা তাদের জন্য নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।