পটনা, ৫ অক্টোবর: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Election) প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে চিফ ইলেকশন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল শনিবার থেকে দুদিনের দৈর্ঘ্যে বিহারে পৌঁছেছেন। নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সন্ধু এবং বিবেক জোশির সঙ্গে এই দল পটনায় পৌঁছেই নানা স্তরের অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন।
বিহার বিধানসভার মেয়াদ ২২ নভেম্বর শেষ হওয়ায় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ পরবর্তী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই নির্বাচনটি রাজ্যের রাজনৈতিক মণ্ডণীকে নতুন মাত্রা দেবে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-বিজেপি জোটের মুখোমুখি হবে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাগঠবন্ধন এবং প্রশান্ত কিশোরের নতুন জন সুরজ।
“পরিকল্পিত, সাজানো!” বিজয়ের র্যালিতে পদপিষ্টের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবী বিজেপির
শনিবার সকাল থেকেই সিইসি জ্ঞানেশ কুমার এবং তাঁর সহযোগীরা রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতির বিস্তারিত পর্যালোচনা শুরু করেন। প্রথমে তারা রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন, যাতে ১২টি প্রধান দল অংশ নিয়েছে। এই বৈঠকে দলগুলি চৈত্র উৎসবের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছে এবং কম ফেজে ভোটারতের দাবি তুলেছে।
সিইসি কুমার রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ বলে সম্বোধন করে তাদের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। দলগুলি নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলি, যেমন মহিলা ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য বিশেষ সুবিধা, এবং ইভিএম নিরাপত্তার প্রশংসা করেছে। তারা মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের কঠোর প্রয়োগ এবং অভিযোগের দ্রুত সমাধানের দাবিও তুলেছে।
বৈঠকের পর সিইসি দলটি রাজ্য সরকারের যন্ত্রণাকে নিয়ে ‘বিস্তারিত ও ব্যাপক পর্যালোচনা’ করেন। কমিশনার, আইজি, ডিআইজি, জেলা নির্বাচন অফিসার (ডিইও), এসএসপি এবং এসপিদের সঙ্গে ইভিএম ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিকস, পোলিং স্টেশনের যৌক্তিকরণ, কর্মীদের প্রশিক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা, জব্দকরণ, ভোটার সচেতনতা এবং প্রচারের মতো সব দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা নির্বাচন অধিকারী এবং সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলা হয়, বিশেষ করে নকশাল প্রভাবিত জেলাগুলি যেমন গয়া, অরঙ্গাবাদ, নওয়াড়া, মুঙ্গের, রোহতাস এবং কৈমুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন সকল ডিইও এবং এসপিদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং অভিযোগের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে।