দিল্লি থেকে মিলেছে বড় বার্তা! বিরাট ধামাকার অপেক্ষায় দিলীপ

এ জেলা থেকে ও জেলায় সফর (Dilip Ghosh)। ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’য় আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে থাকা। দলের সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য। আর তারপরই আচমকা দিল্লি গমন।…

দিল্লি থেকে মিলেছে বড় বার্তা! বিরাট ধামাকার অপেক্ষায় দিলীপ

এ জেলা থেকে ও জেলায় সফর (Dilip Ghosh)। ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’য় আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে থাকা। দলের সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য। আর তারপরই আচমকা দিল্লি গমন। তবে দিল্লি থেকে ফিরেই সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আপাতত ‘স্পিকটি নট’ দিলীপ।

মুখে কিছু না বললেও তিনি যে স্বমহিমায় ময়দানে আছেন, তার প্রমাণ দিলীপ ঘোষের ঠাসা রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজধানী থেকে ফিরে আসার পরে বর্ধমান, মেদিনীপুর, খড়গপুর ব্যারাকপুর, বারাসত, মুর্শিদাবাদে কর্মসূচি করেছেন দিলীপ। শুধু তাই নয়, মালদহের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সোমবার আলাদা করে বৈঠকও করেছেন এই ‘আদি বিজেপি’ নেতা।

এদিন রায়গঞ্জেও রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে দিলীপের। কয়েক সপ্তাহ বাদেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। রায়গঞ্জ থেকে দিলীপ সোজা চলে যাবেন জলপাইগুড়িতে। রাজ্যজুড়ে দিলীপের এহেন কর্মসূচি ঘিরে বিজেপির অন্দরেও নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় রাজ্য সভাপতি করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে?

অস্বস্তি বাড়ল মমতার ‘বন্ধু’ মুখ্যমন্ত্রীর! আপাতত তিহাড় জেলেই কেজরি

এ নিয়ে বিজেপি তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, দিলীপকে বড় কোনও সাংগঠনিক পদ দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এই নেতাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘চুপ’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে খবর। তবে সংগঠনের কাজে ফের দিলীপের সক্রিয়তা দেখে অনেকেই বলছেন, শীঘ্রই বড় ধামাকা হতে পারে।

Advertisements

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় দিলীপ ঘোষ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন। সেবার বাংলায় কার্যত গেরুয়া ঝড় ওঠে। ২০১৪ সালে যেখানে রাজ্য থেকে বিজেপি ২টি আসনে জিতেছিল, সেখানে ২০১৯ সালে তৃণমূলের একাধিক দুর্গ ছারখার করে ১৮টি আসনে জয়ী হন পদ্ম-প্রার্থীরা।

বিজেপি ১১, তৃণমূল ১, নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ঘাসফুলকে উড়িয়ে দিল পদ্ম!

যদিও একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য দিলীপকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে আনা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। এবার সুকান্তর নেতৃত্ব বাংলায় বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। শুধু তাই নয়, সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বদল আসন্ন। সেই পদে কি দিলীপ? অপেক্ষা কয়েক দিনের।