বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার সূত্রপাতে তৃণমূল! বিস্ফোরক দিলীপ

বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার সূত্রপাত করেছে তৃণমূল এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Bengal Politics)। তিনি অভিযোগ করেছেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মারধর, বাধা দেওয়া,…

Bengal Politics

বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার সূত্রপাত করেছে তৃণমূল এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Bengal Politics)। তিনি অভিযোগ করেছেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মারধর, বাধা দেওয়া, সভার অনুমতি না দেওয়া – এসব এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আজ তো বিষয়টা আরও বাড়তে বাড়তে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”

Advertisements

বাগেশ্বর বাবার সভাটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাতিল করে দিয়েছেন। আমাদের জঙ্গলমহলে রাবণ দহন কর্মসূচি হয়, খড়গপুর ও আশেপাশের এলাকায়ও হয়। এ বছর তৃণমূলের লোকেরা জোর করে নয়টি জায়গায় রাবণ দহনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে কোনঠাসা দিলীপ তবুও তার এই অভিযোগে সুর মিলিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল পেমেন্টে বিপ্লব, BharatPeX লঞ্চ করল BharatPe

দিলীপ আরও বলেছেন খগেন মুর্মু এবং শংকর ঘোষ ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। তবুও তাদের উপরে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী হামলা করল কেন ? এই রাজ্যের সমস্ত হিংসাত্মক ঘটনার পিছনে আছে তৃণমূল এমনটাই অভিযোগ করতে শোনা যায় তাকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য দিলীপের কথার বিরোধিতা করে বলেছেন ত্রিপুরাতে যে তৃণমূল নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে তার পর দিলীপ ঘোষের মত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কি করে এই ধরণের কথা বলেন।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রত্যুত্তর তীব্র। কুনাল ঘোষ বলেছেন, “আমরা হিংসা সমর্থন করি না। বিজেপিরা ফটো সেশনের জন্য গিয়েছিল, লোকেরা রেগে গেছে।” সায়নি ঘোষ যোগ করেছেন, “ত্রিপুরায় আমাদের অফিস ভাঙা হয়েছে, পুলিশ কিছু করেনি। তিনি আরও বলেন বাংলার মত গণতন্ত্র কোনো বিজেপি শাসিত রাজ্যে নেই। দিলীপের মতো বড় নেতার এসব বলে কী লাভ?”

ত্রিপুরায় তৃণমূলের অফিসে হামলা হয়েছে সেখানকার বিজেপি-শাসিত সরকারের নির্দেশে বলে অভিযোগ। রাজ্য বিজেপি কোণঠাসা হলেও দিলীপের কথায় অনেকে সহমত বিশেষ করে জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গের ভোটাররা। রাবণ দহন বন্ধের ঘটনা শুনে স্থানীয়রা বলছেন, “দুর্গাপূজার পর রামলীলার সময় এসব? ধর্মের নামে রাজনীতি হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য ফিরে এসে বলেন সরকারি কর্মকর্তারা দিন রাত কাজ করে চলেছেন। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। তবে আহত খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন গতকাল।