‘মহিলা নেত্রীরা নিখোঁজ?’ – অনুব্রত ইস্যুতে প্রীতি-বৈশাখীদের নিশানা দিলীপ ঘোষের

পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দলের মধ্যে এক চরম রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে, যা নারীদের প্রতি অশ্রাব্য মন্তব্য ও শাব্দিক আক্রমণের মধ্যে থেকে আরও…

Dilip Ghosh Attacks TMC Women Workers Over Anubrata Mondal Audio Scandal

পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দলের মধ্যে এক চরম রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে, যা নারীদের প্রতি অশ্রাব্য মন্তব্য ও শাব্দিক আক্রমণের মধ্যে থেকে আরও উত্থান (Dilip Ghosh) লাভ করেছে। এই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে খড়্গপুরের একটি রাস্তা উদ্বোধন অনুষ্ঠান, যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) মহিলাদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার কারণে সমালোচনা করা হয়েছে। আর এই বিষয়টি আবার এক নতুন মোড় নিলো, যখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী প্রীতি কাড়ার ও বৈশাখী সাহারা অভিযোগ করেন যে, দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) তাদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।

মহিলা তৃণমূল কর্মীদের প্রতিবা(Dilip Ghosh) 

   

এ প্রসঙ্গে, খড়্গপুরের মহিলা তৃণমূল কর্মী প্রীতি(Dilip Ghosh) ও বৈশাখীর মন্তব্য ছিল তীব্র ও সরাসরি। তারা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। সেসময়, মহিলা তৃণমূল কর্মীরা রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় দিলীপ ঘোষ মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, “আমি তাদের চমকেছিলাম,” যা তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। এরপর, দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “কলকাতায় শশী পাঁজা সহ আরও কয়েকজন তাঁদের নিয়ে মিছিল করেছিল। (Dilip Ghosh) আমি প্রশ্ন করতে চাই, ওই মহিলা নেত্রীরা এখন কোথায়? পুলিশ কর্মীদের মা-বোনেরা কি মহিলাদের মধ্যে পড়েন না?(Dilip Ghosh) 

দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ ও প্রতিবাদের মুখে তৃণমূল(Dilip Ghosh) 

এখানে যে বিষয়টি উঠে আসছে তা হল, দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের অবমাননার বিষয়। তৃণমূল কর্মী প্রীতি কাড়ার দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি, বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উনি তো স্বীকার করে নিয়েছেন যে মহিলাদের কুকথা বলেছেন। আমি বিজেপি-র কাছে অনুরোধ রাখব যে, অবিলম্বে তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বহিষ্কার করা হোক।(Dilip Ghosh) 

এই বিতর্কের মধ্যে, তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ সরকারও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহিলাদের কুকথা বলে, তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা উচিত। আমাদের দল অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যা কিছু করছে, বিজেপি-র উচিত দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া।(Dilip Ghosh) 

Advertisements

অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের প্রভা(Dilip Ghosh) 

এদিকে, বোলপুর থানার আইসি রিটন হালদারের বিরুদ্ধে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের(Dilip Ghosh) পরিপ্রেক্ষিতে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা আবার পুরো রাজনৈতিক পরিসরে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি এক অডিও কেলেঙ্কারির মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল পুলিশের মহিলা পরিজনদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন।(Dilip Ghosh) এই ঘটনার পর, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একপ্রকার তাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই পরিস্থিতিতে বিজেপি দলের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হোক, যাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়(Dilip Ghosh) 

সামাজিক অবক্ষয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্(Dilip Ghosh) 

এ ঘটনাগুলি একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলির(Dilip Ghosh) মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যা শুধুমাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনের সীমা পেরিয়ে, সমাজের গভীর প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।(Dilip Ghosh) রাজনৈতিক নেতাদের যে ধরনের বক্তব্য ও আচরণ সম্প্রতি সামনে এসেছে, তা সামাজিক শিষ্টাচার ও মহিলাদের প্রতি সম্মানের বিপরীত। এতে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতির মাঠে একে অপরকে আক্রমণ করা, বিশেষত মহিলাদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষার ব্যবহার, সমাজের প্রতি কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে(Dilip Ghosh) 

প্রসঙ্গত, মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য বা আচরণ যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক হানাহানির জন্য হতে পারে না, এটা একটি বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা যখন শর্তহীনভাবে একে অপরকে আক্রমণ করেন, তখন তা দেশের জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে(Dilip Ghosh)