Darjeeling: গোর্খাল্যান্ড দাবি সমর্থন তৃণমূলের, বাংলা ভাগ অভিযোগে মমতা নীরব

জিটিএ (GTA) বৈঠকে ক্ষমতাসীন অনীত থাপার তরফে পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkgaland) দাবির প্রস্তাব সরাসরি সমর্থন শরিক (TMC) তৃ়ণমূল কংগ্রেসের। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) দলীয় পাহাড়ি নেতাদের রাজ্য ভাগের…

Mamata Banerjee

জিটিএ (GTA) বৈঠকে ক্ষমতাসীন অনীত থাপার তরফে পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkgaland) দাবির প্রস্তাব সরাসরি সমর্থন শরিক (TMC) তৃ়ণমূল কংগ্রেসের। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) দলীয় পাহাড়ি নেতাদের রাজ্য ভাগের এই অবস্থান জেনেও নীরব তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি কি নীরবে বাংলা ভাগের সমর্থন করছেন ? কেন মমতা নীরব এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

যদিও এর আগে বারবার উত্তরবঙ্গ গিয়ে রাজ্য ভাগের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জানা যাচ্ছে, আলাদা গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে তৃণমূলের পাহাড়ি নেতারা সমর্থন করার পরও কোনও বার্তা যায়নি নবান্ন থেকে।

গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিরোধী দল বিজেপি নীরব। এর আগে বঙ্গ বিজেপির নেতা ও বিধায়করা বারবার আলাদা বাংলা ভাগের দাবি তুলেছেন। পৃথক উত্তরবঙ্গ, পৃথক জঙ্গলমহলেরও দাবি উঠেছে বিজেপির ভিতরে। আলাদা গোর্খাল্যান্ড দাবির পর বিজেপির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র তাদেরই দখলে। বারবার গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা বিমল গুরুং পাহাড়ি ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ফের বিজেপির ঘনিষ্ঠ।

সিপিআইএমের দাবি, কোনওভাবেই রাজ্য ভাগ মেনে নেওয়া হবেনা। বাম নেতারা বলছেন দীর্ঘ সাড়ে চৌত্রিশ বছরের শাসনে বারবার দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলে রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয়েছে। DGHC (Darjeeling Gorkha Hill Council) গঠন করে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড মান্যতা পায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে DGHC বাতিল কপে GTA (Gorkhaland Teritorial Administration) গঠন করা হয়। তারই বোর্ডে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজিপিএম ও তৃ়ণমূল জোট সরাসরি গোর্খাল্যান্ড ইস্যু সমর্খন করে বাংলা ভাগ করতে চাইছে।

সোমবার জিটিএ সাধারণ সভায় ৫৫টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রথম প্রস্তাবই ছিল দার্জিলিং ও কালিম্পংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করে নতুন রাজ্য গোর্খাল্যান্ড তৈরি করার আলোচনা। এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে জিটিএ বোর্ডে ক্ষমতাসীন অনীত থাপার দল বিজিপিএম ও জোট শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। বোর্ডের বিরোধী দল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির সাত সদস্য রাজ্য ভাগের পক্ষে মত দেন। এতে রাজ্য ভেঙে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু নতুন জিটিএ বোর্ডের প্রথম সাধারণ সভাতেই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, যাঁরা ওই প্রস্তাব সমর্থন করেন তাঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য। আসলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মমতাই উস্কে দিয়েছেন। সেই উস্কানির সুযোগ দিচ্ছে বিজেপি।