ব্রিগেড লক্ষাধিক লোক ভরিয়ে লাভ নেই, পাড়ায় সংগঠন বাড়াচ্ছে CPIM

এক ডাকে লক্ষ লক্ষ সমর্থক বিশাল ব্রিগেড ময়দায় ভরিয়ে দেন। এমন ক্ষমতা দেখনদারি হলেও সেটি খুব একটা কার্যকরী নয় তা বুঝে CPIM-এর বিকল্প নীতি, বছরে…

এক ডাকে লক্ষ লক্ষ সমর্থক বিশাল ব্রিগেড ময়দায় ভরিয়ে দেন। এমন ক্ষমতা দেখনদারি হলেও সেটি খুব একটা কার্যকরী নয় তা বুঝে CPIM-এর বিকল্প নীতি, বছরে একটা ব্রিগেড নয়, নজর হোক বুথে।

বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে গেলেও পুরভোটে ভোট বাড়িয়ে মফস্বল ও নগরাঞ্চলে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েছে সিপিআইএম। আর মূল বিরোধী দল বিজেপি নেমেছে তৃতীয়স্থানে। এই প্রেক্ষিতে জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেরি ছেড়ে বাম শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বাড়ছে। সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্বের লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোটে শক্তি আরও বাড়িয়ে নেওয়া।

কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী দরকার বুথ কমিটি। সেটা না হলে আবার নতুন করে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে আলিমুদ্দিন৷ পঞ্চায়েতের ব্লু প্রিন্ট নিয়ে নামার আগে তড়িঘড়ি এই কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব। যার দেখভাল করবেন এরিয়া কমিটির নেতারা।

দলীয় রিপোর্টে উঠে এসেছে, জেলার মিছিলে তুমুল ভিড়৷ অথচ এরিয়া কমিটির বৈঠক খালি। এতে তাজ্জব CPIM রাজ্যস্তরের নেতারা৷ তাই একেবারে প্রাথমিক স্তরে যোগ দিতে চাইছেন তাঁরা৷ নির্দেশ গেছে পাড়ায় পাড়ায় সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।

সিপিআইএম শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বলছেন, এক ডাকে ব্রিগেডের ময়দান ভর্তি নয়, ভোটের দিকেও নজর দিক এই বুথ কর্মীরা। এলাকা ভিত্তিক সমস্যার কথা তুলে নিয়মমাফিক হোক কর্মসূচি। এমনকি বড় কর্মসূচিতেও তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হোক৷

সিপিআইএম এর নীচু তলার কর্মীদের দাবি, পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের দুর্নীতির কার্যকলাপ মানুষের সামনে তুলে ধরলেই ভোটবাক্সে অনেকটা বদল হতে পারে। সেখানেই দল ব্যবহার করুক এই নেতাদের। তাদের কথায়, এবারেই দলের রেজাল্টে আমুল পরিবর্তন না হলেও যে ফলাফল হবে তা আগামী দিনে কর্মীদের নতুন করে দিশা দেখাতে পারে৷