তীব্র আন্দোলনের পথে যেতেই হবে। রাজ্য সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদনে এমনই বললেন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে বিশেষত গ্রামীণ গরিবের সঙ্গে জীবন্ত সংযোগ স্থাপন করে লড়াই তীব্র করে তুলব। মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল ইত্যাদির মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী কর্মীরা লড়াই করছেন। এই সম্মেলনে আলোচনার পর আমরা আরও তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি নেব।
ডানকুনিতে ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনে খসড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আমরা বাম বিকল্প নিয়ে ইতিবাচক হস্তক্ষেপের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি নেব।
উল্লেখ্য সিপিআইএমের অভ্যন্তরে নরমপন্থী-চরমপন্থী বিভাজন চলেছে। বিশেষত সমর্থকদের মধ্যে জোট নীতির তীব্র বিরোধিতা উঠে এসেছে। তবে জোট ইস্যুতে খসড়া প্রতিবেদনে অ-বাম রাজনীতির ‘হাত’ ধরার বিষয়টি তেমন স্পষ্ট হয়নি। মহম্মদ সেলিম তার রিপোর্টে বৃহত্তর বাম জোটের কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের দুর্বল করার জন্য তৃণমূলকে মদত দেওয়া সাম্রাজ্যবাদী প্রকল্পের অংশ। লাল হটাও বলে বামপন্থীদের দুর্বল করতে তাদের কাছে নানা জায়গা থেকে অর্থ এসেছিল। সেলিম এই প্রসঙ্গেই বলেন, গণতন্ত্র রপ্তানির নামে বামপন্থীদের দুর্বল করতে এভাবে বিদেশ থেকে আর্থিক মদত জোগানোর বিরোধিতা আমরা কমিউনিস্টরা বরাবর জোর গলায় করে এসেছি। তিনি বলেন, বামপন্থীরা দুর্বল হলে ঢেঁকির উল্টোদিকে দক্ষিণপন্থীরা সবল হয়। এভাবেই ভারতের বুকে দক্ষিণপন্থার বিপদ পাখা মেলছে।