সিপিএম রাজ্য সম্মেলনে থাকছে গুপ্তচর! কে কার পক্ষে?

গুপ্তচর চারাপাশে! সবাই দৃশ্যমান কিন্তু কেউ কারওর হদিস জানে না। অভিযোগ, উপদলীয় গোষ্ঠীবাজিতে জর্জরিত দলটির একাধিক হেভিওয়েটের অনুসারীরা চরবৃত্তি করবে। উল্লেখ্য কমিউনিস্ট রীতি অনুযায়ী দলীয়…

CPIM State Conference Faces Espionage Concerns

গুপ্তচর চারাপাশে! সবাই দৃশ্যমান কিন্তু কেউ কারওর হদিস জানে না। অভিযোগ, উপদলীয় গোষ্ঠীবাজিতে জর্জরিত দলটির একাধিক হেভিওয়েটের অনুসারীরা চরবৃত্তি করবে। উল্লেখ্য কমিউনিস্ট রীতি অনুযায়ী দলীয় সাংগঠনিক কথার সবটা প্রকাশ্যে আনার নিয়ম নেই। সেই নিয়ম এখনো চলছে CPIM এর ভিতরে। এরপরেও দলটির সাংগঠনিক তথ্য মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে চলে আসে। রাজ্য সম্মেলনে এমন পরিস্থিতি হবে আশঙ্কায় গোপন চোখ নিযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হুগলি জেলার ডানকুনিতে সিপিআইএমের ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন। ডানকুনির সর্বত্র লাল পতাকায় ঢেকে গেছে। সবকটি জেলার প্রতিনিধিরা থাকবেন। সিপিআইএমের অন্দরমহলের গোপন কথা জানতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধীদল বিজেপি।

   

রাজ্যের এক সময়ের সাড়ে তিন দশকের টানা শাসক সিপিআইএমের শুধুমাত্র প্রকাশ্য সাংগঠনিক রিপোর্ট ও বিকৃতিতে কারোরই মন ভরবে না। দলটির নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রীদের সঙ্গে বর্তমান শাসক ও বিরোধী দলের অনেকের সৌজন্য সম্পর্ক আছে। ঠিক এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সিপিআইএম। আশঙ্কা, সম্মেলনে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা বাইরে চলে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই গুপ্তচর ছড়িয়ে রাখার পরিকল্পনা। তবে প্রতিপক্ষের চরেরাও তৈরি।

রাজ্য সম্মেলনে প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষ সিরিয়াল নম্বর ও কোডসহ খসড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থাকছে সচিত্র পরিচয়পত্র। এছাড়া মোবাইল ব্যবহারের বিষয়ে থাকছে বিধিনিষেধ। সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের মাঝে গুপ্তচর থাকবে। জানা যাচ্ছে, তাদের নজরদারির রিপোর্ট বিশ্লেষণ হবে। থাকছে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা। তবে সরষের মধ্যে ভুত থাকার প্রবাদ আছে। ফলে গোপন খবর ফাঁস হবার আশঙ্কাও থাকছে।

ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে সিপিআইএমের সদস্যপদের রেখাচিত্র নিম্নমুখী। জানা যাচ্ছে কমবেশি ২৫ হাজার সদস্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আবার তরুণ ও ছাত্র- যুবদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। দলের অভ্যন্তরে চলছে রাজ্য সম্পাদক পরিবর্তনের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির জাল।