ফেসবুক, ইউটিউবে দলের নাম ভাঙিয়ে দেদার উপার্জন করছে সিপিএমের (CPIM) একদল যুব নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের কোনও বিষয়ে ‘কন্টেন্ট’ নিয়ে কথা বললে কোনও ট্যাগলাইন নিয়ে ভিডিও পোস্ট করে। তারপর বিভিন্ন টিভি নিউজ চ্যানেলে সেই নিজেদের ভিডিও কন্টেন্টের বক্তব্যই তাঁরা আউড়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁদের অনেকের কথাতেই কোনও গভীরতা ও সারবত্তা থাকছে না।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আবহে SCO বৈঠক, পাকিস্তানে ভারতের দিকে তাকিয়ে সব দেশ
ফলে এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলেই মনে করছে পার্টির একাংশ। অন্যদিকে, ওই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই মনিটাইজেশনের মাধ্যমে মোটা টাকা উপার্জন করছেন। অথচ সেই টাকা পার্টিতে দিচ্ছেন না। যা পার্টির নিয়ম বিরুদ্ধ।
Rose Valley-কাণ্ডে অর্থ ফেরত পেলেন আমানতকারীরা
কেনই বা তাঁরা পার্টিকে সেই ইনকামের কথা জানাবেন না? দলে পদাধিকারী যাঁরা বা আবেগ দিয়ে দলটা যাঁরা করেন, তাঁদের নিয়ে সমস্যা নেই। অথচ, পার্টির সঙ্গে জড়িত হোল টাইমার কয়েকজন এমন আছেন, সমস্যা তাঁদের নিয়েই। যাঁরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই অংশের যুক্তি, এই ইনকাম তো ওই বক্তার একক কৃতিত্বে হচ্ছে না। দলের হয়ে তিনি বলার সুযোগ পাচ্ছেন। এই নিয়ে দলের যুব মহলে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা পৌঁছেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট পর্যন্ত। পৌঁছেছে নালিশের আকারেই। দলের এক যুবনেতা তথা মুখপাত্রের ক্ষোভ, “তার মানে তো পার্টিকে ভাঙিয়ে ঘুরপথে যাঁরা সহ-কমরেডদের বঞ্চিত করে টাকাটা তুলছেন, তাঁরা একরকম তোলাবাজি করছেন।”
পুজোয় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে, ধর্মতলায় ধর্ণায় অনুমতি দিল না পুলিশ
দলের যুব নেতা শতরূপ ঘোষ ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাই ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুকের দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। পার্টির এই নিশানা যে আদতে তাঁদের বিরুদ্ধেই এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার কারণ দলের সাংগঠিক ক্ষেত্রে এই ধরনের আচরন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেই মনে করছে দলের একাংশ।