সিপিআইএম কি শিক্ষিত? RSS-র ডাকটিকিট-কয়েন বিবৃতিতে উঠছে প্রশ্ন

কলকাতা ১ অক্টোবর: আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শতবর্ষের অনুষ্ঠান পালিত হল (Bengal Politics)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। RSS এর…

Bengal Politics

কলকাতা ১ অক্টোবর: আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শতবর্ষের অনুষ্ঠান পালিত হল (Bengal Politics)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। RSS এর শতবর্ষ উপলক্ষে একটি ১০০ টাকার কয়েন এবং একটি ডাক টিকিটও ঘোষণা করেন যাতে খোদাই করা আছে ভারত মাতার ছবি এবং কুচকাওয়াজ রত RSS বাহিনীর ছবি।

Advertisements

মোদীর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়িয়ে আলোচনায় আসতে চাইছে বাংলার সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। কিন্তু ডাকটিকিট-কয়েন নিয়ে বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে বামেরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন আদৌ তারা শিক্ষিত তো? কারণ প্রথমত ভারতের যেকোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বা এমনকি ব্যক্তি যদি চান, তবে তাঁরা বিশেষ উপলক্ষ্যে স্মারক মুদ্রা বা স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

   

তবে এটি একটি সরকারি প্রক্রিয়া, এবং এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত, অনুমোদন ও অর্থ খরচ থাকে। নতুন ডাকটিকিটের জন্য প্রস্তাব পেশ করতে হয় কেন্দ্রীয় ডাক মন্ত্রণালয়ে। তারা একটি কমিটি গঠন করে, যা যাচাই করে বিষয়টির গুরুত্ব ও উপযুক্ততা। অনুমোদন পেলে ডিজাইন তৈরি হয়, তারপর ছাপানো হয়। আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়।

আর মুদ্রার জন্য দায়িত্ব রয়েছে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের। ভারতীয় মুদ্রা নিগম (ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট মিন্ট) এই মুদ্রাগুলি তৈরি করে। এই ধরনের মুদ্রা সাধারণত জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের শতবার্ষিকী বা জাতীয়-আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মরণে প্রকাশিত হয়।

এবার মার্ক জোথানপুইয়াকে বিদায় জানাল ইস্টবেঙ্গল

যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা প্রস্তাবনা পাঠাতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবটি একটি বিশেষ কমিটি দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, যারা এর ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে। অনুমোদন পেলে, মুদ্রার নকশা তৈরি এবং উৎপাদনের দায়িত্ব নেয় ভারতীয় মুদ্রা নিগম। এই মুদ্রাগুলি সাধারণত সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বাজারে সচল মুদ্রা নয়। সুতরাং বাংলার বামেরা এই সম্বন্ধে মন্তব্য করেছে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক মহল। তার সঙ্গে তারা প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বলেছে সিপিএমের উচিত শিক্ষিত হয়ে তর্কে করা মূর্খের মত নয়।