নির্বাচন কমিশন জনতার আস্থা অর্জন করুক। এমনই বার্তা দিল সিপিআইএম। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিপিআইএম। দলটি কেরলের শাসক, তামিলনাডুতে শাসক শিবিরের শরিক ও ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল।
The Statesman জানাচ্ছে, CPIM এর পলিট ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং সাম্প্রতিক কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনের সময় অনৈতিক কার্যকলাপ দেখা গেছে।
সিপিআইএম নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষত মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর, যেখানে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, বিহারে SIR প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি, যা ভোটার তালিকার নির্ভুলতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
সিপিআইএম নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, বিরোধী দলগুলোর তুলে ধরা অভিযোগগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রতি কমিশনের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করা উচিত। দলটির বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে বিরোধী পক্ষের তোলা বিষয়গুলির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা এবং সংশয় দূর করা।”
উল্লেখ্য,লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ‘ভোট চুরি’ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির দাবি, বিরোধী দলনেতার দাবি ভিত্তিহীন। নির্বাচন কমিশনের কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করে না।
রাহুল গান্ধীর সিসিটিভি–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন এক চমকপ্রদ উত্তর দিয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এক লক্ষ ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করতে এক লক্ষ দিন, অর্থাৎ প্রায় ২৭৩ বছর লেগে যাবে। যার কোনও আইনি ফলাফল সম্ভব নয়।
নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে, যদি কোনও প্রার্থী নির্বাচনী মামলায় আদালতে আবেদন করে, তখনই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়। অন্যথায় এই ফুটেজ রেখে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন ও প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ও ভিডিও প্রমাণ নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে কোনও নির্দেশে বা কার আদেশে তা করা হচ্ছে?