প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “লোকসভা ভোটের সময় যারা পাশে ছিলেন, তাদেরও এখন ছেড়ে পালাচ্ছে কংগ্রেস।” মোদী বলেন, “কংগ্রেসের নেতারা নির্বাচনকালে তাদের সঙ্গে ছিল, কিন্তু এখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে।” তাঁর বক্তব্যে, মোদী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকরের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং জানান, “কংগ্রেস কখনোই বাবাসাহেবকে ভারতরত্ন পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “এটি পরিষ্কার প্রমাণ যে, কংগ্রেস কখনও বাবাসাহেবের মূল্যায়ন করতে পারেনি, অথচ আজও দেশের জনগণ বাবাসাহেবের চেতনাকে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়।”
মোদি সরকার দেশের গরিব মানুষের জন্য প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা গরিবদের প্রকৃত উন্নয়ন দিয়েছি, মিথ্যা স্লোগান নয়।” প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি দরিদ্র পরিবার কংক্রিটের ঘর পেয়েছে, ১২ কোটিরও বেশি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে এবং ১২ কোটি পরিবারে পৌঁছেছে নলের জল। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন আরও শক্তিশালী হয়েছে।
মোদি কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করেন, তাদের নীতির ফলেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এই পরিস্থিতি দেশের স্থায়ী উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, কংগ্রেসের বহু বছর ধরে পরিচালিত নীতি ও পদক্ষেপের কারণে দেশের বহু সমস্যা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করছে এবং উন্নয়নকে সামনে রেখে জনগণের কল্যাণের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রসঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী মোদী আলোচনা করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক এবং কার্যকরী, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রদান করে। মোদী দাবি করেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের মূল বিষয়গুলি বাস্তবিক ও সুস্পষ্ট ছিল, যা দেশের সমৃদ্ধি ও জনগণের কল্যাণের জন্য একটি সুসংগঠিত রূপরেখা প্রদান করেছে।
সবশেষে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সরকারের মডেল “নেশন ফার্স্ট” বা “দেশ প্রথম” তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা দেশের জনগণের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে দেশের উন্নতির জন্য এমন পথেই আমরা কাজ করে যাব। তাঁর সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”