বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের নির্বাচনী জয়ে শক্তি বাড়ল হিমন্তর

গুয়াহাটি ২৭ সেপ্টেম্বর: অসমের (India Politics) বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন (BTR)-এর বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (BTC নির্বাচনে বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (BPF)-জয়যুক্ত হয়েছে। ৪০টি আসনের মধ্যে ২৮টি জয়…

India Politics himanta

গুয়াহাটি ২৭ সেপ্টেম্বর: অসমের (India Politics) বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন (BTR)-এর বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (BTC নির্বাচনে বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (BPF)-জয়যুক্ত হয়েছে। ৪০টি আসনের মধ্যে ২৮টি জয় করে বিপিএফ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।২০২০ সালের পর বিপিএফ এর সবচেয়ে বড় সাফল্য এটি ।

Advertisements

এই বিজয়ের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন, “হগ্রামা মহিলারি আমাদের অংশীদার। বিজয়ের পর তিনি ভোর ৪টার দিকে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। বিপিএফ বিজেপির সঙ্গে আছে, কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেছেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করব।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিপিএফ বিজেপির জোটের ইঙ্গিত দিয়েছে।

   

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর। ২২ সেপ্টেম্বর ভোটের পর এই ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। বিপিএফের প্রধান হগ্রামা মহিলারি দেবরগাঁও আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। যদিও চিরাঙ্গদুয়ারে তিনি জিততে পারেননি। এই দলটি ২০২০ সালে ১৭টি আসন জিতে একক সর্ববৃহৎ দল হলেও, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (UPPL)-বিজেপি জোটের সমর্থনে কাউন্সিল গঠন করতে পারেনি।

এবার বিপিএফের ল্যান্ডস্লাইড বিজয় ইউপিপিএলকে ৭টি এবং বিজেপিকে ৫টি আসনে সীমাবদ্ধ করেছে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল কোনো আসন পায়নি। মোট ৩১৬ জন প্রার্থী পাঁচটি জেলা কোকরাঝাড়, চিরাঙ্গ, উদালগুড়ি, বাকসা এবং তামুলপুর এর ৪০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৭.৭৫ শতাংশ, যা অসমের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের রেকর্ড গড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেছিলেন, “প্রথমবার অসমে এমন নির্বাচন হল যাতে একটাও গুলি চলেনি।”

হগ্রামা মহিলারি, যিনি প্রাক্তন বিসিএকে নেতা এবং ২০০৫ সাল থেকে বিপিএফের মাধ্যমে বিটিসি নির্বাচনে পাঁচবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন, এবারও দলটির মুখ্য শক্তি ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিপিএফ বোরো সম্প্রদায়ের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে ভোটারদের আকর্ষণ করেছে। বিজেপির প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা নিজে বিটিআর-এ বেশ কয়েকটি র‍্যালি করে এসেছিলেন, যাতে মহিলা কল্যাণ এবং বিভিন্ন সরকারি স্কিমের উপর জোর দেওয়া হয়।

কিন্তু নির্বাচনের তিন দিন আগে গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুর কারণে প্রচার বাতিল করতে হয়, যা বিজেপির জন্য ‘বড় ধাক্কা’ ছিল বলে শর্মা স্বীকার করেছেন। তবু, তিনি বলেছেন, “এনডিএ পরবর্তী কাউন্সিল গঠন করবে।” এই বিজয়ে বিটিসির সব ৪০টি আসন এনডিএ-র অংশীদারদের হাতে চলে গেছে, যা কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা।

“মা দুর্গার ক্রোধেই উড়ে গেল যোগীরাজ্যের মন্ডপ?” কটাক্ষ তৃণমূলের

তবে বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের জয়ে নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। তার সঙ্গে NDA এর হাতে ৪০ টি আসন চলে যাওয়ায় বিরোধী শক্তি কংগ্রেস অনেকটাই পিছিয়ে গেল। প্রসঙ্গত অসমের জনসংযোগে হিমন্তর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি এবং অসমের রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো রক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা তাকে আরও এগিয়ে রাখবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহল।