পশ্চিম বর্ধমান ২৭ সেপ্টেম্বর: ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু আবারও সেই পশ্চিম বর্ধমান (Bengal Politics)। আরও এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল পাণ্ডবেশ্বর। পাণ্ডবেশ্বরের মহল গ্রামে ভগবত গীতা বিলি করছিলেন কিছু বিজেপি কর্মী। হঠাৎই শেখ আলাউদ্দিন এবং আজহার নামে দুই দুষ্কৃতী সেখানে এসে বেধড়পক পেটাতে থাকে ওই বিজেপি কর্মীদের। ৪ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আপাতত। অভিযোগ এই আলাউদ্দিন এবং আজহার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল আশ্রিত। বাংলার প্রাণের পুজো দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই ধরণের সাম্প্রদায়িক ঘটনা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
পাণ্ডবেশ্বর, পশ্চিম বর্ধমানের একটি তুলনামূলক শান্ত গ্রামাঞ্চল, যেখানে কয়লা খনি এবং কৃষিভিত্তিক জীবিকা প্রধান। এই গ্রামের মহল অংশে বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা একটি ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভগবত গীতার বই বিতরণ করছিলেন। যা হিন্দু ধর্মগ্রন্থের প্রচার এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছিল।
স্থানীয়দের মতে, কর্মসূচিটি শুরু হয়েছিল সকাল ১০টার দিকে, এবং প্রথমদিকে সবকিছু শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে, যখন বিতরণ চলছিল, তখনই দুই যুবক—শেখ আলাউদ্দিন এবং আজহার—প্রায় ১০-১২ জনের দল নিয়ে হুড়মুড় করে হামলা করে। তারা লাঠি, রড এবং হাতে-পায়ে মারধর শুরু করে দেয়। বিজেপির কর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও সংখ্যায় কম হওয়ায় তারা পালাতে বাধ্য হন।
আহত বিজেপি কর্মীরা মহলের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি, যেখানে চিকিৎসকরা বলছেন যে তাদের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক কিন্তু স্থিতিশীল’। অন্য দুজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হয়নি, কিন্তু তারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে, কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজেপির স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, আলাউদ্দিন এবং আজহার টিএমসি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এই হামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে হামলাকারীরা চিৎকার করতে করতে ‘এখানে হিন্দু প্রচার চলবে না’ বলে হুমকি দিচ্ছে। সম্প্রতি নদীয়াতেও সঞ্জয় ভৌমিক নামে এক বিজেপি কর্মী খুনে রাজনৈতিক ক্ষোভ বেড়েছে। সেখানেও অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা বাড়িতে চড়াও হয়ে সঞ্জয়কে পিটিয়ে খুন করে। শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিলও করেছিলেন।
আতঙ্কে পাকিস্তান! রাশিয়া থেকে ৪০০ কিমি পাল্লার বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে ভারত
তবে সমালোচকদের মতে সাম্প্রদায়িক খুনোখুনি না রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আবার রাজনৈতিক মহলের অনেকে বলছেন বিশেষ সম্প্রদায়ের দুই মানুষের নাম আছে বলে অনেকেই এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হিংসা বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আদতে কি ঘটনা ঘটেছে তা বলবে তদন্ত।