দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা শীঘ্রই হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বিজেপি তাদের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাণিয়া সম্প্রদায়ের কাউকে নির্বাচিত করতে পারে, যাদের দিল্লিতে শক্তিশালী ভোটব্যাংক রয়েছে। এই মুহূর্তে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের মধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিজেন্দ্র গুপ্ত, রেখা গুপ্ত এবং জিতেন্দ্র মহাজন—তিনজনই বাণিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত।
বিজেপির সদ্য নির্বাচিত বিধায়করা বুধবার দিল্লি বিজেপি অফিসে একটি বৈঠক ডেকেছেন, যেখানে তাঁরা পার্টির ‘লিডার অফ দ্য হাউস’ নির্বাচন করবেন। দিল্লি বিজেপি সভাপতি বিরেন্দ্র সাচদেবা নিশ্চিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম আজই ঘোষণা করবে বিজেপি। “প্রধানমন্ত্রী, কয়েকজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, অটো-রিকশা চালক, শ্রমিক এবং কিছু সমাজকর্মী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন,” যোগ করেছেন তিনি।
বিজেপির প্রধান মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীরা
বিজেন্দ্র গুপ্ত, একজন অভিজ্ঞ বিজেপি নেতা, যিনি দিল্লি বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং ২০১৫ ও ২০২০ সালে অপ্রতিরোধ্যভাবে রোহিনী আসনটি পুনরুদ্ধার করেছেন। তার শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য পরিচিত। তিনি দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন এবং এই সময়ে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দক্ষতা তাকে দলীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়েছে।
রেখা গুপ্ত, একজন প্রবীণ আরএসএস নেতা, যিনি শালিমার বাগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি বিজেপির অন্যতম শক্তিশালী বাণিয়া নেত্রী। শোনা যাচ্ছে, পার্টি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একটি মহিলা মুখকে নির্বাচিত করতে পারে, যার মধ্যে রেখা গুপ্তের নামও রয়েছে।
তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জিতেন্দ্র মহাজন। যিনি বাণিয়া সম্প্রদায়ের একজন পরিচিত নেতা এবং আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৫ সালে রোহতাস নগর আসনে সারিতা সিংহকে পরাজিত করে তিনি তার তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বাণিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব
দিল্লিতে বাণিয়া সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বাণিয়া সম্প্রদায় ইতিহাসিকভাবে ব্যবসা ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের অর্থনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক প্রভাবেও পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে এই সম্প্রদায়ের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলস্বরূপ বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে এসেছে এবং আম আদমি পার্টি সরকারের পতন ঘটেছে।
এছাড়া দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বাণিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
অন্য প্রার্থীদের নাম
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পার্বেশ ভার্মা, যিনি নিউ দিল্লি আসন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছেন। আশীষ সুত, যিনি দিল্লি বিজেপির একজন প্রখ্যাত পাঞ্জাবি নেতা এবং বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এবং বিরেন্দ্র সাচদেবা, দিল্লি বিজেপির সভাপতি, যাঁর নেতৃত্বে দল একটি ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি
অন্যদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে অনুষ্ঠিত এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভা শপথ নেবেন এবং এটি হবে একটি গর্বিত ও ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান।
এখন শুধু অপেক্ষা, বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণার জন্য, যা রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর নাম শীঘ্রই ঘোষণা করবে বিজেপি
দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা শীঘ্রই হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বিজেপি তাদের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাণিয়া সম্প্রদায়ের কাউকে নির্বাচিত করতে পারে, যাদের…
