সাত সকালে বঙ্গ ভবনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ

নয়াদিল্লি ৮ অক্টোবর: বুধবার নয়াদিল্লিতে বঙ্গ ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছে বিজেপি (Bengal Politics)। সোমবার উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নাগরাকাটায় যান বিজেপির রাজ্য…

Bengal Politics

নয়াদিল্লি ৮ অক্টোবর: বুধবার নয়াদিল্লিতে বঙ্গ ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছে বিজেপি (Bengal Politics)। সোমবার উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নাগরাকাটায় যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ির সাংসদ শংকর ঘোষ এবং বিধায়ক খগেন মুর্মু। এলাকায় পৌঁছতেই শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন তারা। গুরুতর আহত হন খগেন মুর্মু।

Advertisements

রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার খোদ রাজধানীতে বঙ্গ ভবনের সামনে বিক্ষোভে যোগ দেয় বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ চলছে। উত্তরবঙ্গের নাগরকাটা এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণের সময় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও তার সঙ্গে থাকা বিজেপি বিধায়ক ড. শঙ্কর ঘোষকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

‘গণতন্ত্র মানে পশ্চিমবঙ্গ, বিজেপি রাজ্যে কেবল দমননীতি’ বিস্ফোরক সায়নী

সাংসদ খগেন মুর্মুর চোখের নিচে হাড় ভেঙে গিয়েছে৷ গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর৷ যার জেরে তিনি চোখের দৃষ্টি হারাতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আজ মঙ্গলেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ ঘটনার সময় খগেন মুর্মু সরাসরি ত্রাণবিলি কার্যক্রমের তদারকি করছিলেন।

ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রক্তমাখা অবস্থায় পার্টি কর্মীদের সাহায্যে তাঁকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই হামলায় ড. শঙ্কর ঘোষও সামান্য আঘাত পেয়েছেন। বিজেপি অভিযোগ করেছে, এই হামলা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিকল্পিত, যাতে ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়া যায় এবং বিরোধী নেতাদের আতঙ্কিত করা যায়। শীর্ষ নেতা বলেছেন, “এটাই বাংলার জঙ্গলরাজ।

এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাই।” উল্লেখ্য, এই হামলা ঘটল এমন সময়ে যখন উত্তরবঙ্গে বন্যা, ভূমিধস এবং অবিরাম বর্ষণের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ারসহ একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত, বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু বর্তমানে বিপদমুক্ত রয়েছেন।

তবে এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচিত সাংসদ ও প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে এই হামলা শুধুই রাজনৈতিক বিবাদ নয়, বরং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সুরক্ষা ও উদ্ধারকর্মীদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা আরও প্রমাণ করেছে।