মিলন পণ্ডা, খেজুরি: শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটলেও, পাশের বিধানসভা কেন্দ্র খেজুরিতে হাসি ফুটলো তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। সমবায় সমিতি ভোটে খাতা খুলতে পারল না বিজেপি (BJP)। প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থীরা। জয়ের পর সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাস এবং এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপির মিথ্যাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও এই সাফল্যে আমল দিচ্ছে না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি ১ ব্লকের হেঁড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোট ছিল। এই সমবায় সমিতিতে মোট আসন ৯ টি। প্রত্যেকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার সকাল থেকে নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সর্মথকেরা উওেজনা ছিল চরমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়ন করা হয় খেজুরির বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সকাল থেকে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভোট গণনা শেষ হতেই তৃণমূল সমর্থিত প্রত্যেক প্রার্থী জয়লাভ করে। তারপরে সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাস করেন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকেরা। হেঁড়িয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা।
একের পর এক দুর্নীতির কারণে বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে সাধারণ মানুষ দাবি তৃণমূল নেতৃত্বদের। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা খেজুরি ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন খান বলেন, “হেঁড়িয়া সমবায় ভোটে প্রত্যেকটি আসনে জিতেছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপির কুৎসা মিথ্যা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন”।
উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি বিধানসভা থেকে জয় হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী শান্তনু প্রামানিকের। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে খেজুরি বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shuvendu Adhikari) ভাই সৌমেন্দু অধিকারী লিড পেয়েছিলেন। তাহলে কি এবার খেজুরিতে বিজেপির সাংগঠনীক শক্তি কমছে? ধারণা রাজনৈতিক বিশেশজ্ঞদের।