উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বাড়িতেই রণক্ষেত্রের (BJP Leader Attacked) চেহারা নিল রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দল। জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল হিংসায়। অভিযোগ, দলে দা-কুপে গুরুতর জখম হলেন বিজেপির বুথ সভাপতি রামপ্রসাদ সিকদার।
Read Hindi: बीजेपी विधायक के घर कार्यकर्ता पर हमला, ज़मीन विवाद
ঘটনার কেন্দ্রে দুই বিজেপি কর্মী — পলাশ ঢালী ও রামপ্রসাদ সিকদার। গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ শিকদার দীর্ঘদিন ধরে পলাশ ঢালীর জমি ভাগে চাষ করতেন। কিন্তু, সম্প্রতি জমির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়।
সূত্র অনুযায়ী, বিবাদ চলাকালীন রামপ্রসাদ সিকদার স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের কাছে সমস্যা নিয়ে যান। তাঁর অভিযোগ শুনে বিধায়কের বাড়ির মধ্যে বসে আলোচনার মধ্যেই আচমকা পলাশ ঢালী এসে দা নিয়ে রামপ্রসাদ সিকদারের মাথায় কোপ মারেন। ঘটনার আকস্মিকতায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে রামপ্রসাদকে স্থানীয় পাল্লা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে, যেখানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। অভিযুক্ত পলাশ ঢালী পলাতক বলে জানা গিয়েছে, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। দুইজনের মধ্যে পাল্লা বাজারে আগে থেকেই বিবাদ চলছিল। সেখান থেকে সমস্যার মীমাংসার আশায় আমার বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু এখানে এসে পলাশ ঢালী দা নিয়ে হামলা চালায়। আমি চাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত বিবাদ কীভাবে হিংসার চেহারা নিচ্ছে। যদিও আক্রান্ত এবং অভিযুক্ত—দু’জনেই বিজেপির কর্মী, তাই এই ঘটনার রাজনৈতিক অভিঘাতও পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।