বিপ্লব না বিড়ম্বনা? মীনাক্ষীর প্রশ্নে সিপির জবাব ঘিরে তোলপাড়

দক্ষিণ কলকাতার কসবার একটি আইন কলেজে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র (Minakshi Mukherjee)  করে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র তরজা শুরু হয়েছে। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডার…

BJP Fact-Finding Team Arrives in Kolkata, Meets CP Manoj Verma Over Kasba Law College Incident

দক্ষিণ কলকাতার কসবার একটি আইন কলেজে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র (Minakshi Mukherjee)  করে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র তরজা শুরু হয়েছে। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডার নির্দেশে চার সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কলকাতায় আসে। (Minakshi Mukherjee)  তাঁরা প্রথমে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। ওই টিমে ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখী, প্রাক্তন পুলিশ অফিসার সত্যপাল সিংহ এবং রাজ্য বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।(Minakshi Mukherjee)  

কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে প্রশ্ন না তুললেও, (Minakshi Mukherjee)  অভিযুক্তদের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং(Minakshi Mukherjee)  টিমের সদস্যরা। বিপ্লব দেব বলেন, “মনোজিতের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সে মাদকাসক্ত, পুলিশের উপর হামলা করেছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। এমন একজনকে কলেজে নিয়োগ করাটা সবচেয়ে বড় অপরাধ।” তিনি দাবি করেন, “কলেজের পরিচালন সমিতিতে তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব রয়েছেন, তাকেও অভিযুক্ত করা উচিত।”(Minakshi Mukherjee)  

   

এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসও পাল্টা আক্রমণে নামে।(Minakshi Mukherjee)  আগরতলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ত্রিপুরায় নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হলেও, বিপ্লবের রাজ্যের পুলিশ কেবল ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা করেছে! বাংলা নিয়ে নাক গলানোর আগে নিজের রাজ্যে নজর দেওয়া উচিত।”(Minakshi Mukherjee)  

এছাড়া, তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রীত্বকালে ত্রিপুরায় বহু খুন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তখন উনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করতে এসেছেন! হাথরস কাণ্ডে সত্যপাল সিং বলেছিলেন, ‘পুলিশ ও রাজ্য সরকার কী করবে?’ তাহলে এখন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর পাশে দাঁড়াতে গেলে ওঁরা কোথায়?”

Advertisements

বিজেপির এই তদন্তদল কসবার কলেজেও যায়। সেখানেও তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কিছু ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। মীনাক্ষী লেখে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সোজাসুজি প্রশ্ন করেন, “এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসি হবে তো?” সিপি মনোজ বর্মা আশ্বাস দেন, “হ্যাঁ, সমস্ত প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। বিচার নিশ্চিত হবে।”(Minakshi Mukherjee)  

অন্যদিকে কংগ্রেসও বিজেপির এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রদেশ (Minakshi Mukherjee)  কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, “বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের এক সদস্য, যিনি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ আছে। তাঁরা কীভাবে নৈতিক জায়গা থেকে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন?”(Minakshi Mukherjee)  

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হলো যে, নারী নির্যাতন কিংবা অপরাধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি কেবল প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতেই ব্যস্ত। এতে মূল সমস্যার সমাধান না হয়ে, বিষয়টি রাজনৈতিক চাপানউতোরে পর্যবসিত হয়। তবে কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিরপেক্ষ তদন্তই এখন সময়ের দাবি।(Minakshi Mukherjee)