TMC Internal Clash: বীরভূমে কাজল বনাম কেষ্টর রণক্ষেত্র, চলল গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ, পা বাদ গেলো TMC কর্মীর

বীরভূমের রাজনীতি আজ এক নতুন মোড়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজায় রাজায় ভাবটা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে, রাজনৈতিক মহলে কেউ কেউ বলছেন,…

tmc internal clash

বীরভূমের রাজনীতি আজ এক নতুন মোড়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজায় রাজায় ভাবটা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে, রাজনৈতিক মহলে কেউ কেউ বলছেন, কাজল সিনহা এবং অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন আর শুধু আড়ালে নেই, এটি প্রকাশ্যে এসে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানত, তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার লড়াই চালাচ্ছে, যার ফলস্বরূপ বীরভূমে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনা ঘটছে। বিশ্লেষকদের মতে, বীরভূমের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুধু জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, রাজ্যের বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরও প্রভাব ফেলছে।

   

“বীরভূমের ভূপতি কে?” এই প্রশ্ন উঠলে একদল তারস্বরে বলবে কেষ্ট, অন্য পক্ষ গুণগান গাইবে কাজল শেখের। তবে, কেষ্ট মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমে বিনা মুকুটে রাজা হয়ে উঠেছিলেন কাজল শেখ। কিন্তু, কেষ্ট জেলমুক্ত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির আবার রদবদল ঘটছে। তবে, এখনো থেমেছে কি তাদের ঠান্ডা লড়াই? বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধ এখনই শেষ হবে না।

এদিন আবার সেই ‘যুদ্ধ’ নতুন করে বীরভূমে দুঃখজনক ফলাফল নিয়ে এসেছে। ভরদুপুরে একের পর এক বোমার বিস্ফোরণে এলাকার চারপাশ রীতিমতো ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। বিকট শব্দের কারণে সবাই ছুটে চলেছে। চোখের সামনে সব কিছুই অস্পষ্ট। পরিস্থিতি এমন যে, যেন বীরভূমে মল্ল যুদ্ধের সূচনা হয়েছে।

মঙ্গলবার কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুরে বোমাবাজির ঘটনায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী মুখোমুখি হয়, যার পরিণতিতে এলাকায় শুরু হয় ভয়াবহ বোমাবাজি। পরিস্থিতি দ্রুত রণক্ষেত্রের মতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং তীব্র সংঘর্ষের ফলে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোমা ফাটানোর সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট ধোঁয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট শব্দে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। একাধিক বাড়ি ও দোকানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও উত্তেজনা এখনও কমেনি।

স্থানীয়দের দাবি, এই সংঘর্ষ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী—একটি কেষ্ট গ্রুপ এবং অন্যটি কাজল গ্রুপের মধ্যে চলছে। এদের মধ্যে বালির টাকা ভাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছে। গত কিছুদিন ধরে এই দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল, যা অবশেষে বোমাবাজি এবং সংঘর্ষের রূপ নেয়।

পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে, এই ধরনের রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।