নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ক্ষেত্রে গ্রহণ করতেই হবে আধার কার্ড (Adhaar)। সোমবার নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে। নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে আধার গ্রহণযোগ্য না হলেও বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে ১২ তম নথি হিসেবে দেওয়া যাবে আধার কার্ড। এদিনের রায়ে সর্বস্তরের আধিকারিকদের বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
সেইসঙ্গে Representation of People’s Act এর ২৩(৪) ধারা অনুযায়ী আধার কার্ড যে নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি নয়, সেই বিষয়েও আলকপাত করে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ক্ষেত্রে আধার থাকাকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না বলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দিয়েছিল আরজেডি সহ অন্যান্যরা।
এদিন সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই আধারকে বিহারের এসআইআরের ১২ তম নথি হিসেবে গ্রহণের রায়দান করে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আরজেডির তরফে বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য আধার কার্ড (Adhaar) থাকাকেও বিবেচনা করার জন্য তিনবার নির্দেশ দেওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশন তা কার্যকর করেনি। যার জেরে ভোটের আগে তৃণমূল স্তরে বিএলও-রা সাধারণ মানুষকে হয়রান করছেন বলে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, আধার কার্ড (Adhaar) কোনভাবেই নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি নয়। সিব্বল এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোনকিছু নির্দিষ্ট করতে পারে না। দ্বিবেদী তার প্রত্যুত্তরে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব নির্দেশ অনুসারে সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় নথির বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে নির্বাচন কমিশন।
এই মর্মে জাস্টিস জয়মাল্য বাগচী বলেন, পাসপোর্ট এবং জন্মের শংসাপত্র ছাড়া ১১ টি নথির মধ্যে কোনও নথিই নাগরিকত্ব প্রমাণে কার্যকর নয়। এরপর আধারকে নাম নথিভুক্ত করণের প্রমাণপত্র স্বরুপ ১২ তম নথি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আদালত।