বিড়ির সঙ্গে বিহারের তুলনা নিয়ে তুমুল বিতর্কে কংগ্রেস!

নয়াদিল্লি: প্রথমে দ্বারভাঙ্গা জেলার সভা থেকে “প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে কু-কথা”, এবার “বিড়ির সঙ্গে বিহারের তুলনা” বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের বিতর্কে জড়াল কংগ্রেস (Congress)। এবং…

বিড়ির সঙ্গে বিহারের তুলনা নিয়ে তুমুল বিতর্কে কংগ্রেস!

নয়াদিল্লি: প্রথমে দ্বারভাঙ্গা জেলার সভা থেকে “প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে কু-কথা”, এবার “বিড়ির সঙ্গে বিহারের তুলনা” বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের বিতর্কে জড়াল কংগ্রেস (Congress)। এবং কাকতালীয়ভাবে দুটি ঘটনাই ‘বিহার-সম্পর্কিত’! শুক্রবার সকালে এক্স (X)-এ নতুন জিএসটি (GST) তালিকার কিছু ‘অংশের’ ছবি দিয়ে বিজেপিকে খোঁচা মেরে একটি পোস্ট করে কেরল কংগ্রেস।

সেখানে সিগারেট, তামাকজাতীয় দ্রব্যের সঙ্গে বিড়ির পুরনো এবং নতুন জিএসটি রেট দেওয়া হয়। সিগার, সিগারেট, তামাকজাত দ্রব্যে ২৮% এর পরিবর্তে ৪০% জিএসটি বসানো হলেও বিড়ির সংশোধিত জিএসটির প্রস্তাব ২৮ থেকে ১৮% নামানো হয়েছে। কেরল কংগ্রেস পোস্টটিতে লেখে, “বিড়ি এবং বিহারী দুইয়েরই প্রথম অক্ষর “বি”! আর পাপ হিসেবে গণ্য করা যাবে না”।

   

কিছুক্ষণ পর পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হলেও ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস “সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে” বলে তোপ দাগেন বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। সেইসঙ্গে আরজেডি (RJD) নেতা তথা বিহারের ইন্ডি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তেজস্বী যাদবের উদ্দেশ্যে “মিত্র” কংগ্রেসের এই আচরণকে কি “সমর্থন করবেন”? বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শেহজাদ।

Advertisements

তিনি আরও বলেন, “রেভানাথ রেড্ডী থেকে শুরু করে ডিএমকে এমনকি কংগ্রেসেরও বিহারের প্রতি ঘৃণা স্পষ্ট!” ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেডিইউ (JDU) নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা-ও। তিনি বলেন, শুধু বিড়ি নয়, ইংরেজি অক্ষর “বি” দিয়ে বুদ্ধি শব্দ তৈরি হয়, যেটি আপনাদের নেই! বি দিয়ে বাজেটও হয়। যেটি থেকে বিহার বিশেষ কোনও সুবিধা পেলে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরে!”

বিহারের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, “এই মন্তব্যের মাধ্যমে কংগ্রেস বিহারীদের তীব্র অপমান করেছে। যেই রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকে সেখানেই বিহারীদের অসম্মান করা হয়। আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”। অন্যদিকে, এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসীর হুসেন বলেন, “আমি পোস্টটি দেখিনি। তবে এরকম হয়ে থাকলে আমি ওদের (কেরল কংগ্রেস)-কে তা প্রত্যাহার করতে বলব। কোনও রাজ্যবাসীর ক্ষেত্রেই এই ধরণের মন্তব্য করা উচিৎ না”।