কলকাতা, ৩ অক্টোবর: ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের চক্রব্যূহ সাজাতে ভারতীয় জনতা পার্টি (Assembly Elections) তার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
তারা বিজেপির কলকাতা সদর দফতরে অনুষ্ঠিত কর্মীদের সভায় অংশ নেবেন, যেখানে রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এই সভা বিজেপির রাজ্য ইউনিটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসিত তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন গতি যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভূপেন্দ্র যাদবকে বিজেপি জাতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডা গত ২৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের প্রধান দায়িত্বশী হিসেবে নিযুক্ত করেন। এই নিয়োগের সাথে বিপ্লব দেবকে তার সহযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি আরএসএসের সাথে সমন্বয় সভার পরপরই ঘটেছে, যা রাজ্যের সাংগঠনিক প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ।
যাদব, যিনি বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে কৌশলগত ভূমিকা পালন করেছেন, এবার বাংলার জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির নেতৃত্ব দেবেন। বিপ্লব দেব, যিনি বাঙালি হিসেবে পরিচিত, ত্রিপুরায় বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের কৃতিত্ব পেয়েছেন এবং তাঁর অভিজ্ঞতা বাংলার স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে দলকে শক্তিশালী করবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যাদব ও দেবকে বিজেপির স্থানীয় নেতারা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তারা সরাসরি বিজেপির কলকাতা সদর দফতরে যান। সভায় আলোচনার মূল বিষয় হবে বুথ-স্তরীয় সাংগঠনিক শক্তিশালীকরণ, যুবক ও মহিলা কর্মীদের সম্পৃক্তকরণ এবং টিএমসি সরকারের ‘ব্যর্থতা’ তুলে ধরা। গত মাসে বিজেপি রাজ্যের অধিকাংশ বুথ কমিটি গঠন সম্পন্ন করেছে, যা এই সভায় পর্যালোচনা করা হবে। ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, “বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা দুর্নীতিমুক্ত শাসন এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেব।” বিপ্লব দেব যোগ করেন, “বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করে বিজেপি এগোবে।
মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে সফর নিশ্চিত করলেন পুতিন
২০২৬-এর নির্বাচন নির্বাচন ঘিরে বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছে। ২০২১-এ বিজেপি ৭৭টি আসন জিতে টিএমসির ২১৩-এর মোকাবিলা করেছিল, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তারা ১৮টি আসন পেয়ে সক্রিয়তা দেখিয়েছে। এবারের কৌশল হবে ওবিসি, অনগ্রসর সম্প্রদায় এবং শহুরে অসন্তোষকে লক্ষ্য করে।