বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের রাজনৈতিক নাটকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে (Bangladesh) সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক(Bangladesh)অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন সময়ে। শনিবার রাতের অন্তর্বর্তীকালীন(Bangladesh) সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে (Bangladesh) এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইউনূসের নেতৃত্বে বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে (Bangladesh) এই বৈঠক রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টারা। প্রথমেই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকে আওয়ামী লীগের যাবতীয় (Bangladesh) রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের লিখিত বিবৃতি পেশ করেন এবং সেটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ও সংশোধিত আইন
এদিনের বৈঠকে শুধু দল নিষিদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক (Bangladesh) অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনেও গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল এখন থেকে শুধু ব্যক্তি নয়, বরং রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গ সংগঠন এবং সমর্থক গোষ্ঠীকেও শাস্তি (Bangladesh) দেওয়ার অধিকার পাবে। এই আইনি সংস্কারের ফলে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল অন্তর্বর্তী সরকার।
নিষেধাজ্ঞার পেছনে কারণ ও প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিক (Bangladesh) অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা একাধিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক (Bangladesh) সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছে। এই বিচার চলাকালীন দেশের সার্বভৌমত্ব, (Bangladesh) নিরাপত্তা ও সাক্ষীদের সুরক্ষা রক্ষার্থে দলটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘জুলাই আন্দোলন’ নামক ছাত্র-যুব (Bangladesh) ভিত্তিক সংগঠন এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা বিগত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ(Bangladesh) -সমাবেশ করছে। এই বিক্ষোভ ও চাপের মুখেই সরকারের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জনমত ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে বিস্ময়, উদ্বেগ এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলের একাংশ এটিকে ‘গণতন্ত্রের পরিপন্থী’ এবং ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে— দেশের রাজনীতি (Bangladesh) থেকে সহিংসতা দূর করতে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সামনের পথ: নির্দেশিকা ও পরিপত্র জারি
বৈঠকের শেষে আইন উপদেষ্টা (Bangladesh) আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আগামী কর্মদিবসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিপত্র জারি করা হবে। পাশাপাশি, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকাশের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। এই ঘোষণাপত্রে (Bangladesh) দেশের ভবিষ্যৎ শাসন কাঠামো, নির্বাচনপদ্ধতি এবং গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রূপরেখা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক(Bangladesh) ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মোড়। এটি শুধু একটি দলের উপর নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের সূচনা। যদিও এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মতবিরোধ থাকবেই, তবে বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই পদক্ষেপকে অনেকেই সময়োচিত বলেই মনে করছেন।