ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) অভিযোগ করেছিলেন, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সেই দাবি খণ্ডন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপি নেতাকে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ আনার অভিযোগ তোলেন।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ভোটচুরির অভিযোগ তোলেন। সেই কায়দায় অনুরাগও সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, গত চার বছরে ডায়মন্ড হারবারের ৩০১টি বুথে ১৫ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী ওই কেন্দ্রে ৩,৬১৩টি নকল ভোটারের নাম রয়েছে এবং ভুয়ো ঠিকানায় নাম আছে ১,৫৫,৩৬৫ জনের।
প্রেক্ষাপট টেনে কুণাল বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে হিংসায় এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানেনই না ভোটার তালিকায় নাম থাকা বা বাড়ির ঠকানা ধরে কীভাবে নাম তোলা হয়। আসলে তিনি ঠিক করে হোমওয়ার্ক না করেই এসব মিথ্যে দাবি করছেন।” কুণালের দাবি, অভিষেক ইতিমধ্যেই সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যান অনুরাগকে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাই সরাসরি মানুষের সামনে এসে ব্যাখ্যা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
অভিষেকের ভাষণ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়েও কুণাল মন্তব্য করেন, “প্রধানমন্ত্রী কী ভাষণ দেন ঘুরে ঘুরে। ওঁর থেকে ঢের বেশি ভাল ভাষণ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রনায়কের ভাষণ কেমন হওয়া উচিত। দেশের প্রয়োজনের সময় সেরা ব্যাটসম্যান কেমন করে ব্যাট করেন, সেটা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হয়ে তিনি যেভাবে ভাষণ দিয়েছেন সেটা নরেন্দ্র মোদীও পারেন না। সেই ঈর্ষা থেকেই বিজেপির এমপিরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন। যেটা একেবারে ভিত্তিহীন। আসলে সাড়ে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন তো, সেই ধাক্কা সামলাতে পারছেন না।”
তৃণমূলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে কৃত্রিমভাবে ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে বিজেপি জয় পেয়েছে। অভিষেকের বক্তব্য, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে সেই ভোটে সব সাংসদই নির্বাচিত হয়েছেন। কমিশন চাইলে তিনি নিজেও ইস্তফা দিতে রাজি। তাই চলতি লোকসভা ভেঙে দিয়ে কমিশনের উচিত সারা দেশে এসআইআর চালানো।