আজ কলকাতায় সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে বামেদের মহামিছিল

কলকাতা: প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলি বর্বরতায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে শিশু থেকে বৃদ্ধ।…

আজ কলকাতায় সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে বামেদের মহামিছিল

কলকাতা: প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলি বর্বরতায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। একদিকে পৃথিবীর এক কোণে ধর্মের ভিত্তিতে ‘জেনোসাইড’, তো অন্যদিকে শক্তিধর দেশের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন। এই দুইয়ের বিরুদ্ধে সোমবার পথে নামছে সিপিআইএম (CPIM)। বেলা ২ টোয় লেলিন মূর্তির পাদদেশ থেকে “সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধ বিরোধী” মহামিছিলের ডাক দিয়েছে রাজ্যের বামপন্থী দলগুলি।

সিপিআইএম-এর পাশাপাশি সিপিআই (এমএল) (CPIML) এবং এসইউসিআই(SUCI)-ও যোগ দেবে এই মহা সমাবেশে। প্যালেস্তাইনের প্রতি সংহতি এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শান্তি দিবস পাইত হবে বলে জানিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। সমাজমাধ্যমে মহামিছিলে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন মীনাক্ষী, দিপ্সিতার মত দলের যুব-কান্ডারিরা।

   

সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এক্স (X)-এর ভিডিও বার্তায় বলেন, “এই মিছিল যুদ্ধের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, একটি দেশের উপর আর একটি দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। এই মহামিছিল শান্তির পক্ষে, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে, তাঁদের স্বাধীন বিকাশের পক্ষে যুদ্ধ বিরোধী দিবস, সাম্রাজ্যবাদী বিরোধী দিবস। সবার কাছে আমাদের আহ্বান, আসুন, আমরা একসাথে পায়ে পা মেলাই”।

Advertisements

অন্যদিকে, দিপ্সিতা ধরের মুখেও একই আহ্বান শোনা গিয়েছে। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে, প্যালেস্তাইনের উপর ইজরায়েলি বর্বরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্যালেস্তাইনে মৃতদের মধ্যে ৭০% মানুষ শিশু এবং মহিলা। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের বাড়িতে ছিলেন। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা আমি ছেড়েই দিলাম। ১৭০ এরও বেশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত কর্মী খুন হয়েছেন। ১০০-র কাছাকাছি মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ইউনাইটেড নেশনসের সঙ্গে যুক্ত, খুন হয়েছেন। প্যালস্তাইনের জন্য সারা বিশ্ব থেকে পাঠানো ত্রাণ পর্যন্ত আটকে দেওয়া হয়েছে। একটা দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যেখানে শিশুরা না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে।”

এরপর তিনি বলেন, “এই সময় ভারতে বসে প্যালেস্তাইনে যারা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের জাত খুঁজছেন, ধর্ম খুঁজছেন, তাঁদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, এই গণহত্যা শুধুমাত্র এক দেশের বিরুদ্ধে এক দেশের নয়।” ভারতের উপর আমেরিকার ‘সাম্রাজ্যবাদী’ আগ্রাসন এবং ইজরায়েলের সাহায্যে প্যালেস্তাইনে গণহত্যার বিরুদ্ধে দিপ্সিতা বলেন, “যে আমেরিকা আপনার ভারতের দেশীয় পণ্যের উপর শুল্ক লাগাচ্ছে, যে কারণে দেশের টেক্সটাইল শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই একই আমেরিকা ইজরায়েলের সাহায্যে প্যালেস্তাইনের উপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে।” তাই হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান নির্বিশেষে প্যালেস্তাইনের নিরপরাধ মানুষদের জন্য রাস্তায় নামা উচিৎ বলে উল্লেখ করেন তিনি।