আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে শনিবার বিজেপি(BJP)তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারের তৃতীয় অংশের সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে। এর আগে প্রথম দুটি ভাগে বিজেপি দিল্লির জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। প্রথম ভাগে বিজেপি দিল্লিতে বিদ্যমান কল্যাণমূলক স্কিমগুলির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা বলেছিল। দ্বিতীয় ভাগে দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফ্রি শিক্ষা, পরীক্ষার জন্য ভর্তির সাহায্য, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো, এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এছাড়াও নির্দিষ্ট জাতির ছাত্রদের জন্য ১,০০০ মাসিক ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছিল।
তৃতীয় অংশে বিজেপি বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । এই সংকল্প পত্রে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে :
দিল্লিতে ১৩,০০০ দোকান সিল করা হয়েছে। বিজেপি আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইনগতভাবে সব দোকান পূনরায় খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পাকিস্তান থেকে আগত সকল শরণার্থী যারা দিল্লির কলোনিগুলিতে ভাড়ায় বসবাস করছেন তাদের সম্পত্তির পূর্ণ মালিকানা দেওয়া হবে।
গিগ কর্মীদের জন্য একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে।
যেখানে স্বাস্থ্য বীমা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দুর্ঘটনা বীমা ৫ লক্ষ পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের সন্তানদের জন্যও কিছু সুবিধা প্রদান করা হবে।
দিল্লিতে ৫০,০০০ সরকারি চাকরি সৃষ্টি করা হবে এবং ২০ লক্ষ স্ব-নিযুক্তির সুযোগ তৈরি করা হবে।
১,৭০০ অননুমোদিত কলোনিতে বসবাসরতদের সম্পত্তি কিনে-বেচা এবং নির্মাণের পূর্ণ মালিকানা দেওয়া হবে।
দিল্লিকে ১০০ শতাংশ ই-বাস শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তিন বছরের মধ্যে যমুনা নদী পরিষ্কার করা হবে এবং যমুনা রিভারফ্রন্ট তৈরি করা হবে, যা সাম্বারমতি নদীফ্রন্টের মতো হবে।
বিজেপি ১০০ শতাংশ ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং বিলুপ্তি ঘোষণা করবে।
এবং সর্বশেষ দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে আয়ুষ্মান ভারত স্কিম বাস্তবায়ন করবে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, “এই প্রতিশ্রুতি বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে বাস্তবায়ন করবে।” অমিত শাহ বলেছেন, “আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, দিল্লিতে দরিদ্রদের জন্য কোনো সেবামূলক প্রকল্প বন্ধ করা হবে না এবং বিজেপি তার সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।”