জলপাইগুড়ি ৬ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে (Bengal Politics)। সোমবার কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। নগরকাটা এলাকায় পৌঁছতেই উত্তেজিত স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়।
এর আগেই সকালে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিলেন, এখন মনোজ ওঁরাওর ঘটনা বিজেপিকে আরও ক্ষুব্ধ করেছে। বিজেপি এই হামলাগুলোকে ‘টিএমসির গুন্ডাগিরি’ বলে অভিহিত করেছে, যখন স্থানীয়রা বলছেন যে তারা সাহায্যের জন্য নয়, রাজনীতির জন্য এসেছে।
রাজনীতির দাবার ছকে কিশোরের নয়া চাল, ঘুম কেড়েছে দুই শিবিরের
ঘটনার সূত্রপাত হয় নগরকাটা এবং কুমারগ্রাম এলাকায়। মনোজ ওঁরাও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যাকবলিতদের কাছেBengal Politics পৌঁছাতে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় মনোজ ওরাওকে ঠেলাঠেলি করে এবং তাঁর গাড়ির দিকে পাথর ছোঁড়ে। মনোজ ওরাও গুরুতর আহত না হলেও তাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। তাঁকে পুলিশের সহায়তায় নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে সকালে খগেন মুর্মুকে পাথর মেরে গুরুতর আহত করে। খগেন মুর্মুকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
উত্তরবঙ্গে গত ৪-৫ অক্টোবরের ভারী বর্ষণে তিস্তা, জলধাকা এবং অন্যান্য নদীর জল বেড়ে বন্যা সৃষ্টি করেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা। ভূমিধসে রাস্তাঘাট কেটে গেছে, পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমবার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছেন।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছেন, “বিজেপিরা উস্কানি দিতে এসেছিল। মমতা দিদিকে দেখে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ভড়কে দিতে গিয়ে মার খেয়েছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, “স্থানীয়দের ক্ষোভ স্বাভাবিক। বিজেপিরা সাহায্যের নামে রাজনীতি করছিল।” স্থানীয়রা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের মানুষের উদ্দেশে বলেন তারা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রাজনীতি ভুলে একসঙ্গে কাজ করার ডাক দিয়েছেন।