দিল্লিতে ভরাডুবির পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক কেজরির

দিল্লির নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজয়ের পর, অরবিন্দ কেজরীওয়াল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান এবং পাঞ্জাবের আপ বিধায়কদের সাথে মঙ্গলবার দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছেন। এই…

Arvind Kejriwal

দিল্লির নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজয়ের পর, অরবিন্দ কেজরীওয়াল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান এবং পাঞ্জাবের আপ বিধায়কদের সাথে মঙ্গলবার দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছেন। এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক পরিস্থিতিতে যেখানে পাঞ্জাবের আপ শাখায় দলের মধ্যে অস্থিরতার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও আপ সাংসদ মালবিন্দর সিং কাং এই ঘটনাকে একটি “রুটিন কৌশল বৈঠক” বলে মন্তব্য করেছেন।  

তিনি বলেছেন,”দল একটি চলমান প্রক্রিয়া। সমস্ত ইউনিটের মতামত নেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করা যায়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান এবং আপ বিধায়করা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সাথে বৈঠক করবেন যাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।” বৈঠকে দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ এবং ২০২৭ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কৌশল তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

   

৮ ই ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪৮টি আসনে জয়লাভ করলে, কেজরীওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ মাত্র ২২টি আসন পেয়েছে। এই পরাজয়ে পাঞ্জাব শাখায় হতাশার সৃষ্টি হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিছু বিধায়ক দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং তারা অন্য বিকল্পের কথা ভাবছেন বলে খবর আসছে।

২০২২ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে আপ জয়ের মাধ্যমে ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২টি আসন পেয়েছিল। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিছু বিধায়ক মনে করছেন দিল্লির নেতৃত্ব পাঞ্জাব সরকারের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও কেজরীওয়াল পাঞ্জাব রাজনীতিতে আরও সরাসরি ভূমিকা নিতে পারেন, এমনও শোনা যাচ্ছে।

বর্তমানে লুধিয়ানার বিধানসভা আসনটি খালি থাকায়, কেজরীওয়াল সেখান থেকে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন, এবং পাঞ্জাব সরকারের অংশ হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। দিল্লি নির্বাচনে, কেজরীওয়াল বিজেপির পার্বেশ ভার্মার কাছে পরাজিত হয়েছেন।

অন্যদিকে বিরোধী নেতারা সম্প্রতি দিল্লিতে পরাজয়ের পর পাঞ্জাবেও আপের “পতন” হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। বর্তমানে পাঞ্জাবই একমাত্র রাজ্য যেখানে আপ ক্ষমতায় রয়েছে, তাই মঙ্গলবারের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।