তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকা পরিস্থিতিতেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করল দল। এ তালিকায় বড় পরিবর্তন হল—‘পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স’ কমিটিতে অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) নাম এসেছে পঞ্চম স্থানে। তাঁর আগে রয়েছেন গোলাম আহমেদ মীর, প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং দীপা দাশমুন্সি।
প্রদেশ কংগ্রেসের পুনর্গঠনে জেলাস্তর ও অন্যান্য কমিটিতেও একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। শুভঙ্কর সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা এবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। অধীর চৌধুরীর প্রস্তাব অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ জেলা অক্ষত রাখা হয়েছে, সেখানকার সভাপতি হয়েছেন মনোজ চক্রবর্তী। মালদহের দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ ইশা খান। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা (গ্রামীণ), দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর—এই পাঁচ জেলাকে ভেঙে দুটি করে নতুন সংগঠন গঠন হয়েছে।
প্রথমবারের মতো ‘পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স’ কমিটি ও সম্পাদক (সংগঠন) টিম তৈরি হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পুনর্গঠন বলে রাজনৈতিক মহলের মত। দলে নতুন মুখের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে শূন্য আসনে সীমাবদ্ধ হওয়ার পর এবার কংগ্রেসের কাছে রাজ্যের নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যেই দিল্লিতে রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকের ছবি জোট জল্পনা বাড়িয়েছে। ফলে প্রদেশ কংগ্রেসের এই নতুন কাঠামো রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।