Online Class: খোলা ল্যাপটপের সামনে বসানো ‘প্রক্সি’, পাশে অঘোরে ঘুমাচ্ছে ছাত্রী

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের দাপটে দুনিয়াজুড়ে লকডাউন। সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি শিক্ষাঙ্গনে ঝাঁপ পড়েছে অনেক আগেই। ফলে বাড়ি থেকেই চলছে পঠনপাঠন। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপেই উঠে আসছে গোটা…

Online Class: খোলা ল্যাপটপের সামনে বসানো 'প্রক্সি', পাশে অঘোরে ঘুমাচ্ছে ছাত্রী

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের দাপটে দুনিয়াজুড়ে লকডাউন। সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি শিক্ষাঙ্গনে ঝাঁপ পড়েছে অনেক আগেই। ফলে বাড়ি থেকেই চলছে পঠনপাঠন। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপেই উঠে আসছে গোটা ক্লাস। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুল শিক্ষায় ই-স্কুলের কার্যকারিতা নিয়ে খুব বেশি স্বপ্ন না দেখাই মঙ্গল। সে কথাই বুঝিয়ে দিল ছোট্ট একটি ছবি।

আরও পড়ুন অনলাইন নয়, অন সাইকেলে ক্লাস তিলাবনীর কমলাকান্ত স্যারের

সামনে খোলা ল্যাপটপে ক্লাস চলছে, কিন্তু ল্যাপটপের সামনে নেই পড়ুয়া। পাশেই খাটে শুয়ে আছে সে, শিক্ষকের হাত থেকে বাঁচতে ল্যাপটপের সামনে রেখে দিয়েছে প্রক্সি। প্রক্সি হিসেবে রাখা একটি পুতুলের মাথা। পুতুলের মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস। অনেকেই বলছেন, এভাবে শিক্ষককে বোকা বানানো সম্ভব? শিক্ষকই বা কেমন যে তিনি বুঝলেনই না ছাত্রী ল্যাপটপের সামনে নেই? অন্যদিকে অনেকে আবার বলছেন ল্যাপটপের ছোটো স্ক্রিনে বোঝা সম্ভব নয় যে কে ঠিক কী করছে।

INTERESTING ZOOM CLASS | ZIP103FM

যদিও সমস্যাটা অন্য জায়গায়। প্রথমত, ভারতের মতো বহু দেশেই অসংখ্য নিম্নবিত্ত পড়ুয়ার বিদ্যালয়মুখী হওয়ার একটা মূল কারণ দুপুরের খাবার বা ‘মিড ডে মিল’। ঠিক এই পরিস্থিতিতে দেশজোড়া অনলাইন ক্লাসের গল্প আদতে পরিহাস। দ্বিতীয়ত, যারা এই সুবিধা পাচ্ছেও, তারা তা কাজে লাগাতে পারছে না। মনোবিদরা বলছেন, হঠাৎ করেই গোটা ক্লাসরুম ভার্চুয়ালি ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে উঠে আসায় সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

Advertisements

আরও পড়ুন অনলাইন ক্লাস করছে আপনার সন্তান, এই বিষয়গুলো নজরে রাখা জরুরি

এক তো কোভিড পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী হয়ে ক্লাস করা তাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও শিক্ষাদানে অনলাইনে শিক্ষাদান, ভিডিও লেকচার, টিভি বা রেডিওতে সম্প্রচার ইত্যাদির ব্যবহার এই সময় অত্যন্ত কম। এমনকি উচ্চশিক্ষার একেবারে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেও উন্নত দেশগুলিতে এই ব্যবস্থা সেভাবে লাগু হয়নি। ফলে করোনা সংক্রমণের ফলে অনলাইনে শিক্ষাদান একমাত্র রাস্তা হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গেল।