Special Correspondent, Kolkata: ওঁরা কানপুরের বাসিন্দা। না, এটা বাংলার কানপুর। আমতা ১ ব্লকের পুরাশের। ওঁরা দুই বোন। একজন মা ভদ্রকালী ও অন্যজন মা বিমলা। প্রিয় খাবার মাছ পোড়া আর ভেড়ার মাংস। আর এটাই ভক্তদের জন্য তাঁদের দেওয়া প্রসাদ।
শেঠ পরিবারের মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দুই দেবী। এনাদের গাত্র রক্ত বর্ণ। দুই দেবী দুই বোন রূপে এই মন্দিরে পূজিত হন।কথিত আছে প্রায় তিনশ বছর আগে এক ভয়স্ক ভদ্রমহিলা পাশ্ববর্তী নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন।সেই বয়স্কার দুই হাত ধরে নাকি দুই মা নদী থেকে উঠেছিলেন।ছবিতে সামনের দিকে থেকে ডানদিকের বড়ো মা হলেন বড়ো বোন মা ভদ্রকালী আর তাঁর পাশে ছোট বোন হলো মা বিমলা।মা এর মন্দিরে মূল অনুষ্ঠান হয় প্রতিবৎসরের ফাল্গুনের প্রথম শনিবার।
সেই সময় মা এর অন্নকূট হয়।মা এর ভোগের বৈশিষ্ট্য হলো মা এর ভোগে ভেড়ার মাংস ও মাছ পোড়া মা কে দিতেই হবে।এই উৎসব ছাড়াও পৌষ সংক্রান্তির দিনে মা এর মন্দিরের সামনে বিশাল মেলা বসে।মা খুবই জাগ্ৰত।মা এর কাছে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন পূজা দিতে ।অনেকেই মা এর কাছে মনঃকামনা নিয়ে আসেন।কত মানুষের মানসিক যে পূরণ হয় তা পূজার দিনগুলোতে না এলে বিশ্বাস হবে না।প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিন গুলো তে মা এর ভোগ দেওয়া হয়।
<
p style=”text-align: justify;”>অনেকেই বিশ্বাস করেন মা এর নাটমন্দিরের সামনে যে পুকুর আছে তাতে স্নান করে মা কে প্রণাম করলে গঙ্গাস্নান এর সমান পূণ্য লাভ হবে।