Plane Crash: দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা মানুষের আত্মাকে নাড়া দিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রুয়ের সদস্য মারা গেছেন। ২ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিমানটিতে ১৮০ জনেরও বেশি লোক ছিল, যার মধ্যে পাইলট, এয়ার হোস্টেস এবং ক্রু সদস্য ছিলেন। এই দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মুয়ানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে এই হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিধ্বস্ত বিমানটি আজারবাইজানের বলে জানা গেছে। আসুন জেনে নিন বিমান দুর্ঘটনার সময় এয়ার হোস্টেসরা কী করেন, কীভাবে যাত্রীদের সামলান?
আসলে, এয়ার হোস্টেসদের কেবল যাত্রীদের যত্ন নেওয়ার জন্যই বিমানে রাখা হয় না, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। বিমান দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সময়, এয়ার হোস্টেস তার জীবনের চিন্তা না করে বিমানে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকেন। প্রথমত, সেই এয়ার হোস্টেস দুর্ঘটনাটি কতটা গুরুতর এবং ঘটতে পারে তা দেখার জন্য পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন, তারপরে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং যাত্রীদের সতর্ক করেন।
শান্তি বজায় রাখার আবেদন
বিমানে যে কোনো ধরনের সমস্যার সময় যাত্রীরা ঘাবড়ে যাওয়া এবং আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। এমন সময়ে, এয়ার হোস্টেস তাদের শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেন এবং যখন প্রয়োজন হয়, তাদের কাছে যান এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে্ন, যাতে তাদের নার্ভাসনেস হ্রাস করা যায়।
বন্ধনী অবস্থান নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন
জরুরী পরিস্থিতিতে, এয়ার হোস্টেস যাত্রীদের ব্রেস পজিশন নিতে নির্দেশ দেন, যাতে যাত্রীদের মাথা এবং শরীরের অন্যান্য অংশ নিরাপদ থাকে। যদিও এই অবস্থানটি জীবন বাঁচানোর সম্পূর্ণ গ্যারান্টি দেয় না, তবে এটি অবশ্যই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
শেখায় কিভাবে অক্সিজেন মাস্ক লাগাতে হয়
এয়ার হোস্টেসরাও যাত্রীদের শেখান কীভাবে প্রয়োজনে অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয়, কারণ এটি প্রায়শই ঘটে যে উড়ন্ত বিমানে নার্ভাসনের কারণে অনেক যাত্রীর শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ সময় তাদের অক্সিজেন না দিলে তারা মারাও যেতে পারে।
বিমানে থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি
জরুরী পরিস্থিতিতে, এয়ার হোস্টেসও পাইলটের পরামর্শে যাত্রীদের বিমান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয় এবং বিমানের নিকটতম দরজায় নিয়ে যায়। এতেও তিনি শিশু, বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেন। বিমানের জরুরি দরজা খোলার জন্য এয়ার হোস্টেসদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হয়।