Horse shrimp fishers: সাগরে ছোটে ঘোড়া! ওরা মাছ ধরে

বিশালাকারের ঘোড়ায় চেপে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছে দুই মাছ শিকারী। শক্তিশালী ঘোড়া বা বালুময় সমুদ্রের মধ্যে শিকল টেনে নিচ্ছে। এতে কম্পন সৃষ্টি করে চিংড়িকে জালে…

বিশালাকারের ঘোড়ায় চেপে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছে দুই মাছ শিকারী। শক্তিশালী ঘোড়া বা বালুময় সমুদ্রের মধ্যে শিকল টেনে নিচ্ছে। এতে কম্পন সৃষ্টি করে চিংড়িকে জালে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করে। এভাবেই কেজি কেজি চিংড়ি সহ ছোট সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ে শিকারীর জালে। এ এক অদ্ভুত মাছ ধরার কাহিনী। এমন মাছ ধরা জেলে-ঘোড়া দেখা যায় বেলজিয়ামে। ৫০০ বছর ধরে চলছে এই রীতি।

Advertisements

অথৈ সাগরে মাছ ধরার জন্য নামা এই ঘোড়াকে হতে হয় বেশ শক্তিশালী। বারবার সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়লেও নিজের চলার গতি ঠিক রেখে সমুদ্রের মধ্যে শিকল টেনে যেতে হয় দীর্ঘ সময় ধরে। শুরুতে মাছ শিকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাধী বেঁধে নেন ঘোড়ার গায়ে। সেই সাথে শিকারীরা নিজেদের গাইয়ে জড়িয়ে নেন ওয়াটার প্রুফ জ্যাকেট ও বুট জুতো। এরপরই ঘোড়ায় চেপে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে পড়েন এসব মাছ শিকারীরা।

Advertisements

এক মাছ শিকারী জানান, “চিংড়ি মাছ ধরার সর্বউত্তম সময় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমি অনুমান করি যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মাছ জালে ওঠার একটা যোগসূত্র রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন হলে কখনও মাছ বেশি আবার কখনও খুবই কম মাছ পাওয়া যায়।“

মাছ ধরার এমন অভিনব কৌশল দেখতে সমুদ্র পাড়ে ভীড় জমাল এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যটকরাও ক্যামেরাবন্দী করেন ঘোড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার কৌশল। জালে আটকা পড়া মাছগুলো ঝুড়িতে ঢেলে সমুদ্রের জল দিয়ে বালি ছাড়িয়ে নেই মাছ শিকারীরা। এরপর আবারও ছাকনি দিয়ে ভালভাবে ছেঁকে নিয়ে মাছগুলো পরিস্কার করে আরেকটি বাল্টিতে ঢেলে নেন। পরে এসব মাছ ঘোড়া-চালিত যানগুলোতে নিয়ে বিক্রি করা হয় শহরঘুরে।

ঘোড়ায় চেপে চিংড়ি শিকার অত্যন্ত টেকসই ও কম ক্ষতিকারক পদ্ধতি। শুরুর দিকে এ শহরের নেলে বেকার্ড নামের এক নারী জেলে তার ঘোড়া অক্সেলকে দিয়ে মাছ ধরা শুরু করেন। তিনি গোটা বিশ্বের প্রথম স্বীকৃত নারী ঘোড়া সওয়ার জেলে। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো আদ্যিকালের এই পেশাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় স্থান দেয়। সেই থেকে এখনও ৫০০ বছর আগেই এই অভিনব কৌশল ধরে রেখেছেন বেলজিয়ামের ওউস্টডেন ক্যান শহরের মাছ শিকারীরা। ঘোড়ায় চেপে সমুদ্রে চিংড়ি ধরাই এখন তাদের বিরল পেশা। তবে নাসা অনুসারে গত কয়েক দশকে মানুষ যে বশিক উষ্ণতার সৃষ্টি করেছে তার ৯০ শতাংস মহাসাগরগুলি শোসন করেছে।