ঠাকুরের বিগ্রহ কেনার সময় কি দরদাম করা উচিৎ? কি মত প্রেমানন্দ মহারাজের?

নয়াদিল্লি: আমির খান অভিনীত জনপ্রিয় ছবি ‘পিকে’-এর একটি দৃশ্যে ‘এলিয়ন’ পিকে এক বিরাট মন্দিরের বাইরে ঠাকুরের মূর্তি (Idol) কিনতে গিয়ে বড় থেকে ছোট সব মূর্তির…

নয়াদিল্লি: আমির খান অভিনীত জনপ্রিয় ছবি ‘পিকে’-এর একটি দৃশ্যে ‘এলিয়ন’ পিকে এক বিরাট মন্দিরের বাইরে ঠাকুরের মূর্তি (Idol) কিনতে গিয়ে বড় থেকে ছোট সব মূর্তির দাম জিজ্ঞেস করে, দোকানীকে জানতে চেয়েছিলেন, “বড়টার সঙ্গে ছোট মূর্তিটার তফাৎ কি?” মজার ছলে দেখানো হলেও পরিচালক রাজু হিরানি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন এক গভীর বার্তা।

Advertisements

দোকানে যেকোনো জিনিস কিনতে গিয়ে দরদাম করাটা ভারতীয়দের মজ্জাগত। দোকানীর সঙ্গে দরকষাকষি করে দু-দশ টাকা না কমানো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বা শখের জিনিসটা কেনার আনন্দ কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু, মূর্তি-পুজোয় বিশ্বাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই হয়ত পুজোর জন্য বিগ্রহ কিনতে গিয়ে এক কঠিন সমস্যায় পড়েন। দোকানী অন্যায্য দাম হাঁকলেও ঠাকুরের বিগ্রহের দাম নিয়ে দোর কষাকষিতে যেতে চান না অনেকেই।

   

এই বিষয়ে কি বলছেন প্রেমানন্দ মহারাজ (Premanand Maharaj)?

বর্ষানা-বাসী গুরিদেব প্রেমানন্দ মহারাজের মতে ঠাকুরের বিগ্রহ কেনার সময় নিজের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখা অনুচিত নয়। যতক্ষণ না মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, নিয়মিত সেবার জন্য তাঁকে আসনে বসানো হচ্ছে, তার আগে পর্যন্ত বাজার থেকে দেখেশুনে নিজের আরাধ্যকে বেছে নেওয়াই যায়।

দরাদরির পরিবর্তে কি করা উচিৎ জানালেন মহারাজ

এমন অনেক সময় দেখা যায়, যে অনেক অসৎ দোকানী মানুষের শ্রদ্ধার সুযোগ নিয়ে বিগ্রহের অন্যায্য দাম হেঁকে বসেন। যে মূর্তির দাম ৪০০ হওয়া উচিৎ, তার জন্য ৪০,০০০ চাইলে তো কারও পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দোকানীকে সরাসরি বলে দেওয়া উচিৎ, আপনার কাছে ঠিক কোট টাকা আছে। এবং সেই মূল্যে কোন বিগ্রহটি দোকানী আপনাকে দিতে পারেন। কিন্তু মনে দরদামের ভাবনা আনা উচিৎ নয়।

দোকানী কি চাইতে পারবেন?

প্রেমানন্দ মহারাজের মতে কোনও বিগ্রহের দাম ৪৫,০০০ হলে দোকানী তার জন্য ১ লক্ষ টাকা চাইতে পারবেন না। কারণ তিনিও জানেন যে তাঁর মধ্যেও ঈশ্বর আছেন। ঈশ্বরের মূর্তি নিয়ে এত ঠগবাজির কাজ করতে দোকানীরও কুণ্ঠা হবে। কিন্তু বিগ্রহ বানানোয় শিল্পী ও ব্যবসায়ীর সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ক্রেতারদেরও মাথায় রাখা উচিৎ বলে মনে করেন প্রেমানন্দ মহারাজ।