নয়াদিল্লি: শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা, শহরের মধ্যে দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য মেট্রোই মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ভরসা! তবে এসিতে বসে, তুলনামূলক কম খরচে এক নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছে গেলেই তো আর হল না! কারও গন্তব্য তো আর মেট্রো স্টেশন হয় না! তাই কলকাতা হোক বা দিল্লি, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্টেশনের আশেপাশেই সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে অটো বা টোটো।
কিন্তু বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাটের এমনই বেহাল দশা যে অটো, টোটোর পরিবর্তে ট্রাক্টরে করে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন যাত্রীরা। দিল্লির শান্তি নগর, ইন্দ্রপুরী, লোনী, ত্রণিকা সিটির রাস্তাঘাট যেন চাঁদের গর্ত! তবে পাড়া-মহল্লার কোনও ছোটখাটো গলি নয়, বৃষ্টিতে এমন বেহাল দশা ৭০৯ বি জাতীয় সড়কের! যে রাস্তা দিল্লির সঙ্গে বাগপত, সাহারানপুর সহ যমুনোত্রী ধামের সঙ্গে যুক্ত করে।
দূরত্ব নয়, গর্ত ঠিক করছে গাড়ির ভাড়া!
যেখানে আগে ভাড়া ছিল কুড়ি, রাস্তায় গর্ত বেড়ে যাওয়ায় তা ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। তার চেয়েও তাজ্জবের বিষয় হল, যেই দুরত্বে যেতে অটোতে ২০ টাকা লাগত, ট্রাক্টর ওয়ালা সেখানে ৫০ টাকা করে চাইছে। কিন্তু, কোনও বিকল্প না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনে ট্রাক্টরে চড়েই গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।
বানভাসী রাজধানীর একাংশ
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনের বর্ষায় কার্যত বানভাসী রাজধানীর একাংশ। অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকাগুলি ভেসে যায় জলে। শুক্রবারের সকালে ড্রোন-চিত্রে লোহা পুলের পরিস্থিতি ধরা পড়ে। যেখানে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা পেরনোর চিত্র ধরা পড়ে। দিল্লির মনাস্ট্রি বাজার, যমুনা মার্কেট, বাসুদেব ঘাট সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত।
বানভাসী হওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই নীচু এলাকার বাসিন্দারা ময়ূর বিহার ফেজ-১ এর ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন। বুধবার যমুনা নদীর বিপদসীমা যেখানে ২০৫.৩৩ মিটার, সেখানে ২০৮.৬৬ মিটার ছোঁয়। এছাড়াও মদনপুর, বদরপুর বাজার, মজনু কা টিলাতেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।