Pakistan:পরিবেশবান্ধব উনুনে রান্না করছেন পাকিস্তানিরা, কমছে শ্বাসকষ্টের রোগী

পরিবারের জন্য খাবার তৈরী করা দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য বিষয়। তবে সেটি পাকিস্তানের (Pakistan) গ্রামীণ মহিলাদের জন্য যেমন সময় সাপেক্ষ তেমন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও বটে।…

Pakistani Chullah

পরিবারের জন্য খাবার তৈরী করা দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য বিষয়। তবে সেটি পাকিস্তানের (Pakistan) গ্রামীণ মহিলাদের জন্য যেমন সময় সাপেক্ষ তেমন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও বটে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার ফলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। তাই এক এনজিও-র তরফে বিশেষ ধরণের উননের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের অর্থনৈতিক সাবলম্বী করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখবে।

২০১৩ সালে, হেরিটেজ ফাউন্ডেশন অফ পাকিস্তান আনুমানিক পাঁচজন গ্রামীণ মহিলার জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিল, যাদের পরিষ্কার, নিরাপদ রান্নার সংস্থানের অ্যাক্সেস নেই। প্রোগ্রামটি মহিলাদের ‘চুলা’ নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাস্থ্যকর, টেকসই, ধোঁয়াবিহীন মাটির চুলা তৈরি করতে শেখায়, যা কেবল তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিই করে না বরং স্টোভ বিপণন এবং নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা দেয়।

   

এটি কীভাবে কাজ করে

এই চুলা একটি উঁচু মাটির প্ল্যাটফর্মে তৈরী জ্বালানী সাশ্রয়ী ডাবল চুলা। এটি রোদে শুকনো মাটির ইট থেকে তৈরি করা হয় এবং চুন মিশিয়ে শক্তিশালী করা হয়। সঙ্গে বায়ু নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে থাকে পাইপ। যার সাহায্যে ধোঁয়া উপরে উঠে যায়। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে। এটি ভূমিকম্পে সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা বন্যার জলে ধুয়ে যায় না, ফলে মহিলারা জরুরি পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করতে পারে। এটি তৈরী করতে খরচও কম।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে চুলা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজেই পাওয়া যায়। এটি পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশে গ্রামীণ দারিদ্র্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদিও মহিলাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্যবসা করার নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপণনে কিছু সমস্যা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সিন্ধ প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে মাটির চুলা তৈরি করে সফলভাবে ব্যবসা করার জন্যে লেডিস ফান্ডস পাকিস্তান কর্তৃক চম্পাকে “উইমেন এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার ২০১৬” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আমি এবং আমার স্বামী ১৪,০০০ চুলা তৈরি করতে মহিলাদের সাহায্য করেছি। আমরা একসাথে কাজ করি এবং আমরা যে অর্থ উপার্জন করেছি তা থেকে এখন আমরা সুখে আছি কারণ আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারছি।