পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কুতুব মিনারের থেকেও ২৪ গুণ বড় গ্রহাণু

বড়সড় আশঙ্কার কথা শোনাল নাসা। কুতুব মিনারের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি বড় দুর্যোগের মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী। নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের (সিএনইওএস)…

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কুতুব মিনারের থেকেও ২৪ গুণ বড় গ্রহাণু

বড়সড় আশঙ্কার কথা শোনাল নাসা। কুতুব মিনারের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি বড় দুর্যোগের মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী।

নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের (সিএনইওএস) মতে, আগামী ২৭ মে একটি দৈত্যাকার গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে দিয়ে যেতে চলেছে। এটি গ্রহাণু বুর্জ খলিফার আকারের প্রায় দ্বিগুণ এবং কুতুব মিনারের চেয়ে ২৪ গুণ বড়। যদিও ভয়ের কিছু নেই বলে জানানো হয়েছে।

   

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কুতুব মিনারের থেকেও ২৪ গুণ বড় গ্রহাণু

গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ৭৩৩৫ (১৯৮৯ জেএ), যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে থাকবে। এই দূরত্ব পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার গড় দূরত্বের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। তবুও, গ্রহাণুটির বিশাল আকার (1.8 কিলোমিটার ব্যাস) ও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব দেখে নাসা এটিকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ বিভাগের আওতায় ফেলেছে।

Advertisements

এর মানে হল যে যদি কখনও এই গ্রহাণুটির কক্ষপথ পরিবর্তিত হয় তবে এটি আমাদের পৃথিবীর জন্য বিশাল ক্ষতি করতে পারে। নাসার মতে, ৭৩৩৫ (১৯৮৯ জেএ) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রহাণু যা পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ঘণ্টায় প্রায় ৭৬ হাজার কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে এই গ্রহাণু। ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে না। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর ২৯,০০০ এরও বেশি নিয়ার অবজেক্টস (এনইও) এর মধ্যে একটি যা নাসা প্রতি বছর ট্র্যাক করে।

<

p style=”text-align: justify;”>নাসার মতে, এনইও একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের বস্তু যা পৃথিবীর কক্ষপথের প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন কিলোমিটারে আসে। এই বস্তুগুলির বেশিরভাগই খুব ছোট। কিন্তু নাসা বলছে, ৭৩৩৫ (১৯৮৯ সালের জেএ) এনইও’র চেয়ে ৯৯ শতাংশ বড়।