বিশেষ প্রতিবেদন: কলকাতার অদূরেই জলাশয় থেকে উদ্ধার হল পূর্ণবয়স্ক মিষ্টি জলের কুমির। শেষ কবে এমন কলকাতার কাছে কোনও জলাশয়ে কুমির দেখা গিয়েছিল তার রেকর্ড নেই। বিগত কয়েক বছরে এই প্রথম, বললে ভুল হবে না। ‘স্পেশ্যাল ইকনোমিক্যাল এরিয়ার’-এর মধ্যে এই কুমিরটিকে দেখতে পান কর্মীরা। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
ভগবতপুর কুমির প্রকল্প থেকে রেঞ্জার তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বনকর্মীরা এসে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। আপাতত পাথরপ্রতিমার ভগবতপুর কুমির প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটিকে।
জানা গিয়েছে, জলাশয় লাগোয়া ছোট নালার মাধ্যমে কুমিরটি হুগলি নদী থেকে ঢুকে পড়েছিল। পরিবেশবিদদের দাবী, বৃষ্টির জেরে হুগলি নদীতে জলস্ফীতির হয়। আর এতেই মগরটি ওই জলাশয়ে ঢুকে পড়ে।
জানা গিয়েছে,ব্রিটিশ আমলে গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-সহ পূর্ব ভারতের নানা মিষ্টি জলের নদী এবং জলাশয়ে মগরের সন্ধান পাওয়া যেত। কিন্তু বহু বছর আগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই প্রজাতির কুমির লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ২০১৬-য় নদিয়ার করিমপুরে জলঙ্গি নদী থেকে একটি মগর উদ্ধার হয়। ২০১৮ সালে মালদহের পঞ্চানন্দপুরের কাছে গঙ্গা থেকে একটি মিষ্টি জলের কুমির উদ্ধার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মিষ্টি জলের কুমির ভারত , শ্রীলঙ্কা , মায়নামার ও মালয়ের দ্বীপ ও উপদ্বীপীয় অঞ্চলে দেখতে যায়। এরা নদী ও জলা জায়গায় থাকে। এরা নিশাচর হয়। জলে থাকায় সাঁতারে পারদর্শী। এরা মাংসাশী প্রকৃতির। ৩০ – ৪০ টি ডিম পড়ে। ৬০ – ৯০ বাদে ডিম ফুটে বাঁচা জন্মায়।