আজব মাছ! জন্মের সময় নারী, বয়স বাড়লেই পুরুষ

জন্মের সময় নারী থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষে পরিণত হয় এই অদ্ভুত মাছ। ব্যতিক্রমধর্মী এই মাছের নাম ফেয়ারি রাসে(Fairy Wrasse)। ন্যাশনাল ওশিয়ানক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ার…

short-samachar

জন্মের সময় নারী থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষে পরিণত হয় এই অদ্ভুত মাছ। ব্যতিক্রমধর্মী এই মাছের নাম ফেয়ারি রাসে(Fairy Wrasse)। ন্যাশনাল ওশিয়ানক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের পূর্ব পশ্চিমে পাওয়া যায় এই রামধনু মাছ।

   

এই মাছটি একদম ছোট আকৃতির উজ্জ্বল বেগুনি রংয়ের। মাথার অংশটির রং সূর্যের মতন। পাখনাতেও রংধনুর মতন বিভিন্ন ধরনের রং দেখা যায়। খুব সহজেই যে কারোর নজর কাড়বে এর বিশেষ সৌন্দর্য।

মালদ্বীপের বিশেষ ফুলের নাম অনুসারে এই বিশেষ মাছের নাম রাখা হয়েছিল, রোজ ভিল্ড ফেয়ারি রাসে। বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের জন্য নয় বরং আশ্চর্যময় শারীরিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বর্তমানে প্রাণিবিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে ফেয়ারি রাসে।

নারী থেকে পুরুষ হয়ে যাওয়ার এই আশ্চর্যকর বৈশিষ্ট্য সামনে আসার পর এই মাছটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই গবেষকদের। মালদ্বীপ মেরিন রিসার্চ ইনস্টটিউটেরর গবেষক ডক্টর আহমেদ নাজিব প্রথমে মাছটির এই বিচিত্র জীবনের তথ্য প্রকাশ করেন।

তার মতে জন্মের সময় এই মাছটি থাকে নারীর রূপে, নির্দিষ্ট বয়স পার হলেই এই মাছ পরিণত হয় পুরুষে। শারীরিক গঠন এবং হরমোনাল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর, রং বদলে যায় এদের। শরীরে আশের ধরন পরিবর্তন হতে থাকে। আঁশের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

তবে এই পরিবর্তন কেনও হয়? এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। গবেষকরা এই মাছটিকে নিয়ে এখনও নানা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যানা গিয়েছে মাছটি মালদ্বীপের গবেষকদের আবিষ্কৃত সর্বপ্রথম প্রজাতি। তাই এই নিয়ে দেশীয় বিজ্ঞানীদের আগ্রহ চরম পর্যায়ে। তবে এত আশ্চর্য প্রকৃতির মাছ এতদিন কিভাবে মানুষের চোখের আড়ালে ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ৭০ থেকে ১৫০ মিটার গভীরে বসবাস করে এই মাছ। অর্থাৎ এই মাছকে গভীর সমুদ্রের মাছ বলা যায় না। আবার সচরাচর সমুদ্রের গভীরে নাগাল পাওয়া যায় না। এই গভীরতার সাবমেরিন যেমন যাওয়া সম্ভব নয়। তেমন স্কুবা ড্রাইভাররাও পৌঁছে মাছটি পরিদর্শন করতে পারে না। ফলে জনবসতির কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও অজানা থেকে গিয়েছিল এই প্রজাতি।