যুদ্ধের সাইরেনে বাজবে আগমনীর সুর! ‘কান্নার ইউক্রেনে’ পাড়ি দেবেন মা

রোজ সকাল-বিকেল বোম আর মিশাইলে ঝলসে যাচ্ছে একের পর এক শহর। মারণ গ্যাসে মৃত্যু হচ্ছে হাজারো শিশু ও সাধারন মানুষের। আর ক্ষণে ক্ষণে সাইরেনের আওয়াজে…

রোজ সকাল-বিকেল বোম আর মিশাইলে ঝলসে যাচ্ছে একের পর এক শহর। মারণ গ্যাসে মৃত্যু হচ্ছে হাজারো শিশু ও সাধারন মানুষের। আর ক্ষণে ক্ষণে সাইরেনের আওয়াজে আতঙ্কে কেঁপে উঠছে আট থেকে আশি। গত দু-বছরের ওপর কেটে গেলেও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামার নাম নেই। প্রাণ হাতে নিয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছে ইউক্রেন। বাকি ইউরোপের আকাশ নীলচে হলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে কালো ধোঁয়ার ঘনঘটায় আচ্ছন্ন গোটা আকাশ।

Advertisements

শরতের মতো নীলচে আকাশে তুলো মেঘ হয়তো এখানেও দেখা যেত, হয়তো আবার দেখা যাবে….। সেই আশায় রোজই বুক বাঁধেন ওরা। তাই আগামী শরতে রক্তে ভেজা মাটিতে ‘স্নেহের পরশ’ দিতেই ভূমধ্যসাগর তীরে পাড়ি দেবেন ‘মা’। শারদোত্সব দেখবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এবার জাহাজে করে ইউক্রেনের মাটিতে পা রাখবেন ‘তিনি’।

বিজ্ঞাপন

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ইউক্রেনেও প্রচুর বাঙালির বসবাস। আর বাঙালি সারা বছরই অপেক্ষা করে থাকে নীলচে শরতের আকাশের দিকে চেয়ে। বিগত দু-বছর যুদ্ধের জন্য দুর্গোত্সব পালন করতে পারেনি তাঁরা। কিন্তু এবার আর নয়। যেমন করেই হোক, মায়ের মুখ দেখতে উদগ্রীব তাঁরা। তাই এবার কলকাতার কুমোরটুলি থেকে বায়নায় ইউক্রেনে পাড়ি দিচ্ছেন মা দূর্গা। কুমোরটুলির শিল্পীরা বলেন,”হয়তো ওদেশে জীবন যাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক, তাই ওখান থেকে এবার প্রতিমা বানানোর অর্ডার পেয়েছি। মুর্ত্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্বে,আর কিছুদিন বাদেই জাহাজে উঠবে প্রতিমা।”

ইউক্রেন ছাড়াও ইতালি, স্পেন, জার্মানী ও ব্রিটেন ও আমেরিকা থেকেও এবার প্রচুর অর্ডার পেয়েছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা। যারফলে খুশির হাওয়া কুমোরটুলির শিল্পী মহলে।