বাংলা দৈনিকের জেলা সাংবাদিক টাকা চেয়েছিলেন, দিইনি তাই তিনি রেগে আছেন: বিস্ফোরক অনির্বাণ

নিউজ ডেস্ক: বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি হেরে গেলেও মানুষের পাশে থেকেছেন পুরো লকডাউন জুড়ে। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের প্রয়োজনে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে ছুটেছেন অনিবার্ণ৷ তারপরও তাঁর…

dr. anirban ganguly

নিউজ ডেস্ক: বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি হেরে গেলেও মানুষের পাশে থেকেছেন পুরো লকডাউন জুড়ে। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের প্রয়োজনে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে ছুটেছেন অনিবার্ণ৷ তারপরও তাঁর বোলপুরে ছেড়ে রাজ্যের অন্যপ্রান্তের সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ভ্রান্তি তৈরি চেষ্টা চলছে। কিন্তু কেন বা কারা এই চেষ্টা চালাচ্ছে?

Advertisements

উত্তর দিলেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি, তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় বোলপুরে একটি বাংলা দৈণিকের সাংবাদিক আমার কাছে অর্থ চান৷ আমি তখন প্রচারের কাছে বোলপুর বিধানসভায় ঘুরছি৷ স্বাভাবিকভাবেই আমি ওঁকে কোনওরকম অর্থ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলাম না৷ তৎক্ষনাৎ সেই কথা জানিয়েও দিয়েছিলাম ওই সাংবাদিককে৷ তারপর প্রতিদান দিচ্ছেন ওই ভদ্রলোক, একের পর এক বিভ্রান্তি তৈরি করা খবর করছেন। আমি দলের কাজে দিল্লি গেলে লিখছেন ‘বোলপুর ছেড়ে চলে গেলেন অনির্বাণ’। বোলপুরে ফিরে এলে লিখছেন, ‘আমি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করিনি’।  অথচ পুরো বিধানসভায় যারা আমাকে জেতানোর জন্য লড়াই করেছেন তাঁদের সঙ্গে আমার ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ রয়েছে৷ ‘

Advertisements

এরপর মজার ছলে অনির্বাণবাবু বলেন, ‘শুনলাম ভোটের পর অনুব্রত একটি সভা থেকে নাম করে কড়কে দিয়েছিল ওঁকে, তৃণমূলের থেকে টাকা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ঠিকমতো মিথ্যে না লিখতে পারার জন্য। হয়ত ওই কড়কানির পর উনি কাজে উঠেপড়ে লেগেছেন। ভদ্রলোক আমার কাছেও আক্ষেপ করছিলেন, ‘ফটোগ্রাফি করে আর পেট চলে না, বুঝতেই তো পারছেন।’ মিডিয়া হাউসটির উচিৎ ওঁর স্যালারি বাড়ানো৷ যাই হোক ওই সাংবাদিক ভদ্রলোককে বলব কলম আর মেরুদন্ড বিক্রি করবেন না।’

অনির্বাণ আরও যোগ করেন, ‘আপনি দেখুন বোলপুরে ভোটের পর বিজেপি সহ রাজ্যের শাসসক দলের বিরোধী মতাদর্শের  কর্মীরদের উপর হামলা হয়েছে৷ কিন্তু এই সাংবাদিক ভদ্রলোক সেগুলো নিয়ে এক লাইনও লেখার প্রয়োজন মনে করেননি৷’