ডাইনোসরের শরীরে ছিল পালক!

ডাইনোসরের (Dinosaurs) শরীরে ছিল পালক ছিল। একটি জীবাশ্ম সেই কথার প্রমান। প্রশ্ন উঠবে ডাইনোসরের আবার পালক হয় নাকি ? তারা তো সরিসৃপ যাদের শরীরে ‘scales’…

A group of feathered dinosaurs in a prehistoric landscape, showcasing their vibrant plumage and diverse feather patterns

ডাইনোসরের (Dinosaurs) শরীরে ছিল পালক ছিল। একটি জীবাশ্ম সেই কথার প্রমান। প্রশ্ন উঠবে ডাইনোসরের আবার পালক হয় নাকি ? তারা তো সরিসৃপ যাদের শরীরে ‘scales’ থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে ‘scales’ আর পালক এমনকি অঙ্গুলেটদের ‘hoofs’, মানুষের আঙুলের নখ, চুল, ‘hedgehog’ এর কাটা, তিমির ‘baleen’ সবই ‘Keratin’ নামক একই জিনিস দিয়ে তৈরী এবং সদ্য, একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে একটি জিন মিউটেশনের এর কারণে মুরগির পায়ের স্কেলগুলি পালকে রূপান্তরিত হয়েছিল।

পালক শুধুমাত্র আকাশে উড়তে সাহায্য করে না, এটি ‘insulation’, শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে এবং প্রজনন (sexual selection) এও কাজে লাগে, এটা মনে করা হয় যে প্রধানত ‘insulation’, ‘display’ এবং ‘temperature control’ এর জন্য কিছু কিছু শাখার ডাইনোসরের শরীরে পালকের আবির্ভাব ঘটেছিল। অনেক ডাইনোসর প্রজাতির খোজ পাওয়া গিয়েছে যারা পালক বহন করত যেমন আর্চাওপ্টেরিক্স , মাইক্রোরাপটর , সিনোসারোপ্টেরিক্স , ওয়াইই , চাইহং , ক্যাদিপ্টেরিক্স , ভেলোচিরাপটারর , ইত্যাদি। এই ধরনের ডাইনোসরকে ফেদার ডাইনোসর বলা হয় এবং তাদেরই একটি শাখা (যার নাম মানিরাতোড়া ) থেকে আজকের দিনের একমাত্র জীবিত ডাইনোসরদের আর্লি ক্রেটাসস সময়কালে আবির্ভাব ঘটেছে, অর্থাৎ পাখি (এভস)। পাখিরাও এক ধরনের ডাইনোসরই বটে এবং তাদেরকে বিজ্ঞানীরা এভিয়ান ডাইনোসরদের /নেওনিঠেস বলে ডাকি।

   

A group of feathered dinosaurs in a prehistoric landscape, showcasing their vibrant plumage and diverse feather patterns

পাখিদের কাউডাল ভার্টাব্রে (লেজের হাড়) গুলি অসফিকেশন দ্বারা ফিউজড অবস্থায় থাকে, হাড়ের এই বিশেষত্বকে প্যাগোস্টাইল বলে। তবে অন্যান্য পালকযুক্ত ডাইনোসর যেমন আর্চায়প্টেরিক্স , মাইক্রোরাপ্টর এর সেরকম কোনো বিশেষত্ব নেই এবং পাখিদের বিপরীত তাদের লেজের হাড় (caudal vertebrae) fused অবস্থায় থাকে না, অর্থাত তাদের pygostyle নেই। যদিও এমনও কিছু প্রজাতির feathered ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে যাদের শুধুমাত্র লেজের শেষের অংশটি fused অবস্থায় থাকত, পাখিদের মতন পুরো লেজটি নয় যেমন নমিঙিয়া , অভিমিমাস , ডেইনোচেইরাস , ইত্যাদি।

বেশ কিছু বছর আগে ওই আম্বার নামক জীবাশ্মর ভিতরই এমন এক বস্তু পান বিজ্ঞানীরা যার লেজটি পাখিদের তূলনায় অনেকটাই লম্বা তাই বৈজ্ঞানিকরা এটিকে একটি ডাইনোসরের লেজ হিসেবে চিহ্নিত করে। লেজটির খুব সম্ভবত একটি শাবক ডাইনোসরের ছিল তার কারণ লেজটির ছোট আকার। লেজটির পালকগুলো সিম্পল ফিলামেন্টস দিয়ে গঠিত যেগুলি প্রধানত ইন্সুলেশন এবং শরীরের টেম্পারেচার কন্ট্রোলের কাজে লাগত।