Coronal Holes: সূর্যের গায়ে বিশাল গর্ত, ঢুকে যাবে ৬০টি পৃথিবী

সূর্যের গায়ে বিশাল কালো গর্তের‌ (Coronal Holes) সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের আকার এতটাই বড় যে অনায়াসে ৬০টি পৃথিবী ঢুকে যেতে পারবে। যদিও এর তল কতটা গভীর…

Coronal Holes

সূর্যের গায়ে বিশাল কালো গর্তের‌ (Coronal Holes) সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের আকার এতটাই বড় যে অনায়াসে ৬০টি পৃথিবী ঢুকে যেতে পারবে। যদিও এর তল কতটা গভীর তা অনুমান করা কঠিন। আতঙ্কের বিষয় এই গর্তের মুখগুলো পৃথিবীর দিকেই। সূর্যের বর্তমান গর্তটির বৃস্তিতি ঘটেছে যার আয়তন ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার মাইল। একে করোনাল হোল বলে ব্যাখ্যা করছে নাসা। এই গর্তের কারণ হিসাবে বিজ্ঞানীরা ১১ বছরের এক ব্রিটিশ সাইকেলকে ধরেন। অর্থাৎ এই এগারো বছরে সূর্যের একটি পরিবর্তন হয়। বদলে যায় সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র।

সূর্যের এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসাবে সৌর ঝড়কে বর্ণনা করা হয়েছে। এর গতিও মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু মাঝারি থেকে শক্তিশালী সৌরশিখা সনাক্ত করেছে। পাশাপাশি পৃথিবীতে এই সৌরশিখার প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করেছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই ধরনের শিক্ষার মাধ্যমে চরম অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরিত হয় এবং এতে এক্সরে রশ্মি থাকে যা পৃথিবীর অয়ন মন্ডলের সংস্পর্শে এসে রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। মূলত সৌরশিখা হল সূর্যের বায়ুমন্ডলের ইলেকট্রোম্যাগনেটি বিকিরনের একটি তীব্র বিস্ফোরণ। সূর্যের সক্রিয় অঞ্চলে এই বিস্ফোরণ প্রায় সময়ই হয়। যা আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এগুলো অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়, তাই খালি চোখে সহজে দেখা যায়। সৌরশিখা উৎপন্ন হওয়ার পেছনে রয়েছে সেখানকার চৌম্বকীয় ক্ষেত্র।

   

চৌম্বক ক্ষেত্রের রেখাগুলি এত শক্তিশালী যে তা মহাকাশে যেতে পারেনা। ফলে সেখানে শীতল ও অন্ধকার অঞ্চল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের লাইনগুলি হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন সৌরশিখা এবং অন্যান্য পদার্থের বিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়। তখন সেই স্পট গুলিকে সক্রিয় সৌরঅঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

সৌরশিখাকে তাদের শক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভাগ করা হয়। সবচেয়ে দুর্বল সোলার ফ্লেয়ারকে বলা হয় এ ক্লাস ফ্লেয়ার। সবথেকে শক্তিশালীকে বলা হয় এক্স প্লাস ফ্লেয়ার। এগুলি পৃথিবীর অনেক ক্ষতি করতে পারে। সৌরশিখা সরাসরি মানুষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব না ফেললেও চৌম্বকীয় শক্তি বের হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

তবে জানা যায় সৌর অগ্নিশিখা কখনো যদি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে তবে তা আমাদের পাওয়ার গ্রিড সহ রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। শিখার পাশাপাশি অনেক সময় তৈরি হয় সৌর ঝড়। সেই সময় বের হতে থাকে সৌর বাতাস। এই সৌর বাতাসের চার্জ যুক্ত কনা বা প্লাজমা ঘন স্রোত সূর্য থেকে বেরিয়ে এসে মহাকাশে ভেসে বেড়াতে থাকে। সৌর ঝড়ের ফলে উপগ্রহ সংকেত বাধা পেতে থাকে। সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর বাইরের বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে যা উপগ্রহের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া সৌর ঝড় জিপিএস নেভিগেশন, মোবাইল সিগন্যালিং এবং স্যাটেলাইট টিভিতে প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাহত হতে পারে পরিষেবা। প্রভাব পড়তে পারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার লাইন বা ট্রান্সফরমার গুলোতে।