Baby’s Superpowered Scent Can Manipulate Parents’ Moods, Researchers Find
অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা: নিজেদের দেহ নিঃসৃত বিভিন্ন রাসায়নিকের গন্ধ বিভিন্ন প্রাণীর বিশেষত স্তন্যপায়ীদের বেঁচে থাকা ও সামাজিক যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য্য। যৌনসঙ্গী নির্বাচন কিংবা নিজের সন্তানকে চিনতে পারা তার খুব সহজ উদাহরণ।
বিভিন্ন প্রাণী ‘ফেরোমোন’ নিঃসরণ করলেও, মানুষের মধ্যে সেজাতীয় বৈশিষ্ট্য এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। কিন্তু মানুষ তাদের ত্বক, লালা এবং মল ইত্যাদির মাধ্যমে হেক্সাডেকান্যাল নামে একটি গন্ধহীন যৌগ নির্গত করে। শিশুদের মাথা থেকেও এই যৌগটি প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হয়।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হেক্সাডেকান্যাল শুঁকলে মহিলাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক (Aggressive) ব্যাবহার বৃদ্ধি পায় (১৩%), অন্যদিকে পুরুষরা শুঁকলে হয় উল্টোফল। পুরুষেরা শান্ত হয়ে যায় (২০%)। এই আচরণের সাথে সাথে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলেও এর প্রভাব দেখা যায়।মস্তিষ্কের যেসব অঞ্চল এই আক্রমণাত্মক ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ করে, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই সব অঞ্চলে স্নায়বিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়, মহিলাদের ক্ষেত্রে কমে যায়।
কিন্তু এর তাৎপর্য্য কি? শিশু সন্তানের ঘ্রাণ নেওয়া, শিশুর কপালে নাক ঠেকানো সব সমাজের বাবা- মাই করে থাকেন। এর ফলে তাঁরা শিশুর মাথা থেকে হেক্সাডেকান্যাল শুঁকে ফেলেন। এছাড়া শিশুর মল পরিষ্কারের মাধ্যমেও তাঁরা এই যৌগের সংস্পর্শে আসেন। অনুমান করা হচ্ছে, শিশুর প্রাণরক্ষার জন্য ব্যাপারটা এভাবে বিবর্তিত হয়েছে।
আসলে শিশুর জন্য মায়ের আক্রমণাত্মক হওয়া ও শিশুর প্রতি বাবার কম আক্রমণাত্মক হওয়া, শিশুর বাঁচার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় বলেই হেক্সাডেকান্যাল নারী ও পুরুষ মস্তিষ্কে ভিন্ন প্রভাব ফেলে। এছাড়া বাবা ছাড়াও গোষ্ঠীর অন্য পুরুষদের থেকে শিশুকে রক্ষার ক্ষেত্রেও হেক্সাডেকানাল এভাবে কাজ করতে পারে। তবে এই ব্যাখ্যা কার্য্য-কারণ দেখে সম্পূর্ণ অনুমান মাত্র, পরীক্ষায় প্রমাণিত নয়।
আর কৃত্রিম ভাবে যে পরিমাণ হেক্সাডেকান্যাল শোঁকানো হয়েছে পরীক্ষায়, শারীরবৃত্তীয় ভাবে তার পরিমাণ কতটা কাছাকাছি, তাও এখনো অজানা। তাই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরো নিরীক্ষণ প্রয়োজন।