China: কর্মস্থলে জলদি পৌঁছতে চিনের প্রাচীর ভেঙে শর্টকাট! হতবাক রক্ষীরা

কালের পরিক্রমায় চিনের (China) ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীরটি নিয়ে সাধারণ মানুষদের আগ্রহের কমতি নেই। চিনকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে নির্মিত এই মহাপ্রাচীরটি একনজর দেখার জন্য…

China: কর্মস্থলে জলদি পৌঁছতে চিনের প্রাচীর ভেঙে শর্টকাট! হতবাক রক্ষীরা

কালের পরিক্রমায় চিনের (China) ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীরটি নিয়ে সাধারণ মানুষদের আগ্রহের কমতি নেই। চিনকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে নির্মিত এই মহাপ্রাচীরটি একনজর দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে ভিড় জমান। সাম্প্রতিক সময় নির্মিত এই প্রাচীরটিকে কেন্দ্র করে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

Advertisements

২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চিনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙের অধীনে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি বর্তমান প্রাচীরের অনেক উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের শাসনামলে নির্মিত হয়।চিনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীরের উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৮৮৫১.৮ কিলোমিটার। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে।

   

চিনের স্যাংসি প্রদেশের ইউহি এলাকায় প্রাচীর খুঁড়ে রাস্তা তৈরি করতে চেয়েছিলেন দুই শ্রমিক। এতে প্রাচীরটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়, স্থানীয় পুলিশরা। আগস্টের ২৪ তারিখ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় চিনে অনুপ্রবেশের কারণে নয় বরং নিজেদের যাতায়াত সহজতর করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisements

China: কর্মস্থলে জলদি পৌঁছতে চিনের প্রাচীর ভেঙে শর্টকাট! হতবাক রক্ষীরা

জানা গিয়েছে গ্রেফতার করা দুজনের মধ্যে একজন ৩৮ বছর বয়সের পুরুষ। অন্যজন ৫৫ বছর বয়সী নারী। খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত দুটি মেশিন ওই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে পেয়েছে পুলিশ। এটি ব্যবহার করেই তারা প্রাচীর খুঁড়ছিলেন বলে জানিয়েছেন। এমন অদ্ভুত কান্ড তারা কেন ঘটিয়েছেন জানতে চাইলে তারা জানান, তারা নির্মাণ শ্রমিক। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে প্রাচীর থাকায় তাদের অনেক পথ ঘুরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হয়। এ কারণেই কর্মস্থল থেকে দূরত্ব কমাতে গর্ত খুঁড়ে রাস্তা তৈরি করেছিলেন তারা। এই ঘটনাটি গত সোমবার চিনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে তারা জানিয়েছেন প্রাচীরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা সম্ভব নয়।